নিজস্ব প্রতিনিধি: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক, পেশাভিত্তিক ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলোকে আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সহায়-সম্বলহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং তাদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও স্থানীয় বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার রাজধানীর মীরপুরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির জেয়াফতে ভাষণে তিনি বলেন, এককভাবে যে কাজ করা সম্ভব নয় সম্মিলিতভাবে তা সুন্দর ও স্বার্থকভাবে করা সম্ভব। যে কোনো কাজের সফলতায় সম্মিলিত উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বৃহত্তম ময়মনসিংহ অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা যথেষ্ট উজ্জ্বল। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার-লেনে উন্নীতকরণের ফলে এ অঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হয়েছে। মৎস্যজাত ও কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের জন্য ময়মনসিংহ অঞ্চল খুবই উপযোগী। কিন্তু পর্যাপ্ত স্থানীয় উদ্যোগের অভাবে অতীতে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি।
আবদুল হামিদ দল-মত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার পাশাপাশি বৃহত্তর ময়মনসিংহের উন্নয়নে এ অঞ্চলের শিল্পপতিদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে ময়মনসিংহ বিভাগ যাত্রা শুরু করেছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের একজন অধিবাসী হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারকে এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
হাওর অঞ্চলে সাম্প্রতিক আগাম বন্যার কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে হাওর এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকারও পরিবর্তন আনতে হবে। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিবেচনা করে নতুন জাত ও পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে। এ কাজে গবেষণা খুবই জরুরি।
ভাষণের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপতি মীরপুরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির ভবনও উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহের রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতা এবং পদস্থ বেসামরিক ও সংশ্লিষ্ট সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
