নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ দেশে-বিদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য চক্রান্ত চলছে। সোমবার বিকেলে গুলশান ইয়ুথক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, কোথায় কোথায় এসব চক্রান্তের বৈঠক চলছে আমরা জানি, পর্যবেক্ষণ করছি। খোঁজ-খবর আমাদের কাছে আছে।
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরানোর জন্য চক্রান্ত চলছে, চক্রান্তের ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। আপনারা ঠান্ডা মাথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধের শপথে সামনে এগিয়ে যাবেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি আল্লার রহমতে, কোনো অপশক্তি আমাদের বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না। আমরা বিজয়ী হবো এটা যখন প্রতিপক্ষ বুঝতে পেরেছে ঠিক তখনই তারা চক্রান্তের চোরাগলি বেছে নিয়েছে। এ চক্রান্তের চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করছে। কোথায় কোথায় এসব চক্রান্তের বৈঠক চলছে আমরা জানি, পর্যবেক্ষণ করছি খোঁজ-খবর আমাদের কাছে আছে।
বিএনপির জনসমর্থন নেই দাবি করে কাদের বলেন, আজকে বেগম জিয়া দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপি ভেবেছিল রাজপথে লাখ লাখ জনতার ঢল নামবে। এখন তারা বুঝতে পেরেছে সেই আশা গুড়েবালি। জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। গত নয়বছরে জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। আমাদের বিশ্বাস, মানুষ এখন নির্বাচনমুখী আন্দোলন চায় না, কাজেই আন্দোলনের ডাক দিয়ে তারা সফল হবে না। ভোটে তারা পরাজিত হবে একথা জেনেই আজকে চক্রান্ত তারা করছে।
পাকিস্তান বাংলাদের বিরুদ্ধে লেগেই আছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো নেত্রীর কারাদণ্ড হয়, পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সেটা নিয়ে কটাক্ষ্ করতে দুঃসাহস পায়। লেগেই আছে এরা, পাকিস্তানের বন্ধুরা, এরা আমাদের ভালো চায় না।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, স্লোগান দেয়ার সময় উস্কানিমূলক স্লোগান দেবেন না, ভাষণ দেয়ার সময় অশান্তির ভাষণ দেবেন না। দায়িত্বশীল কথা বলবেন, লাগামহীন কথা বলবেন না। ঠান্ডা মাথায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না, আক্রান্ত হলে পাল্টা জবাব দেব। কাজেই উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য দিবেন না। সারা দেশের নেতাকর্মীরা দায়িত্বশীল হবে এটাই আমরা আশা করি।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া দণ্ডপ্রাপ্তির পর, বিএনপি কর্মসূচি দিলেও আমরা কোনো কর্মসূচি দেইনি। পাল্টাপাল্টিতে আমরা নেই। আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করবো। অন্যকে আমাদের উস্কানি দেয়ার প্রয়োজন নেই।
এ কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।