নিজস্ব প্রতিবেদক: লেকহেড গ্রামার স্কুল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে দেওয়ার হাইকোর্টের রায় আরও ১০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে স্কুলটির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ বিষয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার আখতার ইমাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার ও মতিন খসরু এবং ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও রিশাদ ইমাম।
এসময় আদালত বলেন, ‘রুল জারি করলে অন্তত ১০ দিন সময় দিতে হয়। কিন্তু হাইকোর্টে তাড়াহুড়ো করে রুল দেওয়া হয়েছে।’
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম বলেন, ‘এখানে ১১০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আদালত রুল দিয়েছেন।’ জবাবে আদালত বলেন, ‘স্কুলটির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।’
এরপর আখতার ইমাম বলেন, ‘স্কুলের কর্মচারী, শিক্ষক ও ম্যানেজমেন্টের কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। এখানে ১১০০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’
আদালত বলেন, ‘আমরা (বিচারপতিরা) খাসকামরায় বসে বিষয়টি বিশদভাবে চিন্তা করেছি।’
রিটকারীদের আরেক আইনজীবী হাসান আরিফ আদালতকে বলেন, স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। প্রয়োজনে নতুন কমিটি দিয়ে স্কুলটি পরিচালনা করা হোক। তবু স্কুলটি খুলে দেওয়ার আবেদন করছি।
এরপর আদালত স্কুল খুলে দেওয়া সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় ১০ দিনের জন্য স্থগিত এবং নিয়মিত আপিলের নির্দেশ দেন। এছাড়া স্কুলের বর্তমান কমিটির কারও বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকলে তা আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এর আগে গত ৬ নভেম্বর লেকহেড স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।