নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনার চালান পাচার করতে বিশেষ পদ্ধতি বের করেছিলেন মো. আলম (৪৫) নামের বাহরাইন–ফেরত এক যাত্রী। কম্বলের ভেতর লুকিয়ে রাখেন ৫৮টি সোনার বার।
তবে গোপন সংবাদ পেয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর মো. আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তাঁর ব্যাগ স্ক্যান করা হয়। ব্যাগের ভেতর থাকা কম্বলটি থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করেন ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেনটিভ দলের কর্মকর্তারা। যার মোট ওজন ৬ কেজি ৭০০ গ্রামের মতো। জব্দ হওয়া সোনার মূল্য ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (এসি) ও প্রিভেনটিভ দলের প্রধান সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোনার বারগুলো নিজের নয় বলে দাবি করেন আলম। বাহরাইন থেকে গলফ এয়ারের জিএফ ২৪৮ নম্বর ফ্লাইটে করে আজ সকাল নয়টায় ঢাকায় আসেন তিনি। গোপন সংবাদ পেয়ে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেলের সামনে সোনার চালান থাকার কথা ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি প্রথমে তা অস্বীকার করেন। পরে ব্যাগ স্ক্যান করে কম্বলের ভেতর দুটি প্যাকেট থেকে ৫৮টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। হলুদ রঙের স্কচটেপ দিয়ে প্যাকেট দুটি করা হয়। প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম।
এই কর্মকর্তা বলেন, আলম জানিয়েছেন তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। বাহরাইনে তিনি নির্মাণশ্রমিকের কাজ করেন। হায়দার নামে এক বন্ধু কম্বলটি তাঁকে দিয়েছিলেন। আলমের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।