ডেস্ক রিপোর্ট: কোটা সংস্কারে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রস্তাবনা পাঠানোর পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান জানিয়েছেন, গঠনের ১৫ দিনের মধ্যে কোটা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেবে কমিটি। তবে কমিটি গঠনের এ উদ্যোগকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনের নেতারা।
জনপ্রশাসন সচিব জানিয়েছেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্য সংখ্যা হতে পারে পাঁচ থেকে সাত। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, লেজিসলেটিভ বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ সচিব, সরকারি কর্মকমিশনের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিবের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটিতে কে কে থাকবেন, তা নির্ধারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার অনুমোদনের পর কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
এদিকে, কমিটি গঠনের উদ্যোগকে আন্দোলন ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক নূর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারের প্রধান নির্বাহীর ঘোষণার পর কমিটির প্রয়োজন নেই। কোটা সাংবিধানিক বা আইনি বিষয় নয়। কমিটি গঠন করে কোটা পদ্ধতি চালু করা হয়নি; সরকারি আদেশে চালু হয়েছিল। সরকারি আদেশে কোটা বাতিল সম্ভব। তাই কমিটি নয়, প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন চান তারা।
গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন থেকে পরিষদ নেতারা ঘোষণা দেন, কোটা বাতিলে বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে রোববার থেকে তারা ফের আন্দোলনের নামবেন।
নূরুল হক নূর জানিয়েছেন, কোটা পর্যালোচনার কমিটি গঠনের প্রস্তাবনায় তারা সস্তুষ্ট নন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামী রোববার প্রজ্ঞাপনের দাবিতে কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা। আজকালের মধ্যে আলোচনা করে কর্মসূচি নির্ধারণ করবে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি।