ক্রীড়া প্রতিবেদক : জিতেই যাচ্ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। জাহিদ হোসেন গোল করে ৩ পয়েন্টের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন, কিন্তু কে জানতো শেখ রাসেল ম্যাচ ড্র করে ফেলবে! ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে দারুণ এক গোলে শেখ রাসেল সমতায় ফিরলে ২-২ গোলের ড্রতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুদলকে।
মঙ্গলবার প্রথম পর্বের হারের প্রতিশোধ নিতে পারেনি শেখ রাসেল। অথচ গোল করে একসময়কার ট্রেবল জয়ীরাই গিয়েছিল এগিয়ে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম গোল পায় শফিকুল ইসলাম মানিকের দল। মাশুক মিয়া জনির বাড়ানো বল সোহেল রানা ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি, তার আগেই বল কেড়ে নেন মোনায়েম খান রাজু। এরপর ডান পায়ের মাপা শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করতে কোনও সমস্যাই হয়নি এই মিডফিল্ডারের। ৯ মিনিটে মিশরের জাকি সারহানের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে না গেলে ব্যবধান তখনই দ্বিগুণ করতে পারতো শেখ রাসেল। ৩৫ মিনিটে আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ, কিন্তু জাকি সারহানের বাড়নো বলে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি হাইতির ফরোয়ার্ড ফ্রাঙ্কোইস জ্যাকুইস। একটু পর জুলফিকারের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে চট্টগ্রাম আবাহনী রক্ষা পায়।
গোল শোধে মরিয়া চট্টগ্রামের দলটি ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে গেছে খুব। ৪৩ মিনিটে সফলও হয়। আব্দুল্লাহর ফ্রি কিক থেকে পাওয়া বলে বক্সের ভেতর থেকে হাইতির লিওনেল সেইন্টের নেওয়া সাইড ভলি রুখতে পারেননি রাসেল গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান, তাতে স্কোরলাইন ১-১। বিরতির পর চট্টগ্রাম আবাহনী গোছালো আক্রমণ করতে থাকে। ৮৩ মিনিটে লিডও নেয় তারা উইঙ্গার জাহিদ হোসেন লক্ষ্যভেদ করলে। বাঁ প্রান্ত থেকে আবদুল্লাহর বাড়ানো নিচু ক্রসে জাহিদ হোসেনের নিচু হেড জড়িয়ে যায় জালে। তবে তাদের এই অগ্রগামিতা বেশিক্ষণ থাকেনি। মিনিট চারেক পরই সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। বিশ্বনাথ ঘোষের থ্রো ইনে উত্তম ভৌমিক হেড করার পর হাইতির ফ্রাঙ্কোইসের ফিরতি হেড জালে জড়িয়ে গেলে ২-২ গোলের ড্রয়ে শেষ হয় উত্তেজনারকর দ্বৈরথটি।
এই ড্রয়ে ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকলো বন্দর নগরীর দলটি। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শেখ রাসেল রয়ে গেছে আগের সেই প ম স্থানেই।