নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ায় পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ জারি করা হলো।
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনি (আনিসুল হক) মারা যাওয়ায় আমরা একজন যোগ্য ব্যক্তিকে হারালাম। উনি মারা যাওয়ার দু’দিনের মধ্যেই কে কবে কোথায় কীভাবে নির্বাচন করবে -এটা বলতে আমার একটু বাধা বাধা লাগছে।’
তিনি বলেন, ‘একটা লোক গেল, এতখানি কন্ট্রিবিউশন যার, মারা যাওয়ার একদিনের মধ্যেই কইতেছি যে, এত তারিখের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। তবে এটা তো সত্য, শূন্য স্থান তো পূরণ করতেই হবে। যত কঠিনই হোক, এ বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সচিব রোববার যথার্থই বলেছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করলেই ৯০ দিনের মাথায় উপ-নির্বাচন দেবেন। এটাই আইন করা হবে। রোববারই আমরা ফাইলে সই করেছি, নোটিশ চলে গেছে। গেজেট হয়ে যাবে যে, এই আসন শূন্য। আসন শূন্য হলেই ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।’
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, ‘এর মধ্যে যারা নির্বাচনের প্রচারণা করবেন তাদের ৪৫ দিন সময় দিতে হবে। কাজেই নির্বাচন কমিশন তাদের সুবিধা মত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’
তিনি বলেন, ‘একই সময়ে আমরা তিনজনকে মনোনয়ন দিয়েছি, একজন তাদের মধ্যে কাজ করছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে। আর দুইজন ওয়েটিংয়ে আছেন। যদি প্রথম জনের অসুবিধা হয় তবে দ্বিতীয়, তৃতীয় যেকোনো একজন দায়িত্ব পালন করবেন।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব (সিটি কর্পোরেশন) মো. মাহমুদুল আলম বলেন, ‘আনিসুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের পদ শূন্য ঘোষণা করে আদেশ জারি করে আমরা বিজি প্রেসে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখান থেকে এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ রোববার জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে পদ শূন্য সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করলে ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, মেয়র আনিসুল হক গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত শনিবার সকালে বাংলাদেশ বিমানে করে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। পরে বাদ আসর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।