নিজস্ব সংবাদদাতা: সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতারা বলেছেন, সরকারের ভুল ও গণবিরোধী নীতি ও পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিনা চ্যালেঞ্জে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে দেয়া হবে না।
শাহবাগ মোড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন। ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য বহ্নিশিখা জামালি, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ কাফি রতন, বাসদ নেতা জুলফিকার আলী, বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা ফকরুদ্দিন কবির আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক মনির উদ্দিন পাপ্পু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা নজরুল ইসলাম, সিপিবি নেতা ডা. সাজেদুল হক রুবেল, বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, সিপিবি নেতা লুনা নূর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
চন্দন বলেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা হিসাব করে দেখিয়েছেন, বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব। কিন্তু সরকার দাম না কমিয়ে তা বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে এসব করছে। জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায় নেই। জনগণের স্বার্থের বিপরীতে দাঁড়িয়ে কোনো সরকারই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। ৩০ নভেম্বরের হরতাল সফল করার মধ্য দিয়ে সরকারকে বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহারে বাধ্য করতে হবে।
সমাবেশ শেষে হরতালের সমর্থনে শাহবাগ থেকে প্রচারাভিযান শুরু হয়। এরপর কাঁটাবন, সাইন্সল্যাব, নিউ মার্কেট, আজিমপুরে প্রচারাভিযান চলে। এদিকে হরতালের সমর্থনে সোমবার ধানমন্ডি লেক, সদরঘাট, বাহাদুর শাহ পার্ক, জজকোর্ট, হাইকোর্টে প্রচারাভিযান বের হয়।