মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বাচ্চু বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদিনী ও তার বিধবা মা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এদিকে মামলা তুলে নেওয়া জন্য আসামীগণ ও তার আত্মীয়-স্বজনরা জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে বাদিনীকে। মামলা সূত্রে জানা গেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা গ্রামে বাচ্চু বাহিনীর অত্যাচারে দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। উক্ত বাহিনীগণ দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকায় চাঁদাবাজী, অপহরণ, লুটপাত, জোরপূর্বক জমি দখল জালজালিয়াতি ক্রমে জমির দলিল সৃজন ও ধর্ষণসহ স্থানীয় থানা ও বিজ্ঞ আদালতে প্রায় ১২/১৩টি মামলা রয়েছে। এতেও ক্ষ্যান্ত হয়নি এ বাহিনী গত ১০ই নভেম্বর বেতিলা গ্রামের মৃত হামেদ কাজীর মেয়ে পাপিয়া (২৩) কে একই গ্রামের মৃত নস্কুইরার লম্পট পুত্র মোঃ বাচ্চু মিয়া (৪৮) পাপিয়াকে মাঝে মধ্যে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে জীবন নাশের হুমকি দিত। ঘটনাটি পাপিয়ার মা বাচ্চুর আত্মীয় স্বজনের নিকট জানালেও কোন ফল পায়নি। উল্টো লম্পট বাচ্চু আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় পাপিয়া প্রকৃতির ডাকে টয়লেটে যায়। প্রকৃতির ডাক শেষ করে নিজ ঘরে ফেরা মাত্র পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা লম্পট বাচ্চু পাপিয়াকে ঝাঁপটিয়ে ধরে, এমনকি কৌশলে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়াতে থাকে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে যায়। পরে পাপিয়া ডাক চিৎকার করতে থাকে। এতে তার মা এগিয়ে এসে লম্পট বাচ্চুর সাথে থাকা আব্দুল আলিম ও করিম, ডালিমনকে মারপিট করে পালিয়ে যায়। পরে বাচ্চু ঘরের দরজা খুলে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাপিয়ার মা লম্পট বাচ্চুকে ঘরে ভিতরে আটক করে রাখেন। এক পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বাচ্চু ধস্তাধস্তি করে। এর কারণে পাপিয়া ও তার মার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও যখম প্রাপ্ত হয়। পরে টের পেয়ে বাকী আসামীরা বাচ্চুকে জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পাপিয়া ও তার মায়ের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে আসামীদের কবল থেকে তারা রক্ষা পান। পাপিয়া ও তার মাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ব্যাপারে গত ১১ই নভেম্বর মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার জন্য পরার্মশ দেন। গত ১২ই নভেম্বর পাপিয়া বাদী হয়ে মানিকগঞ্জে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মোঃ বাচ্চু মিয়া, আব্দুল আলিম ও করিমকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার পিটিশন নং- ৫৪১/১৭। এলাকাবাসী জানান বাচ্চু মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একজন পিয়ন এ সুবাদে সে এলাকায় একের পর এক বিভিন্ন অসামাজিক কার্য্যকলাপ করে আসছে। এতে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। কেউ করিলেও তাদেরকে তার বাহিনী দিয়ে জীবন নাশের হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলা ও মোকাদ্দমা দেওয়া হয়। এব্যাপারে এলাকাবাসী বাচ্চু বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।