নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) তথা মোবাইল ব্যাংকিংকে জনপ্রিয় ও সম্প্রসারণ করার জন্য সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চার্জ সাধারণভাবে এজেন্টের অংশ, মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারের ইউএসএসডি মূল্য এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অংশ-এ তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে ইউএসএসডি মূল্য এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অংশ কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। এ দুটি চার্জ কমানো সম্ভব হলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার চার্জ কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যাংকগুলোর ঋণযোগ্য তহবিল বৃদ্ধি পাওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই সরকারের ঋণ গ্রহণের ফলে বেসরকারি বিনিয়োগে ঋণ প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠ নয় বলে প্রতীয়মান হয়।
অপর এক প্রশ্নে তিনি জানান, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের অব্যাহত সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দিন বদলের সনদ রচনা করেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথনকশা প্রথিত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি ধারণ করে সরকার সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
সরকার দলীয় সদস্য মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী আরও জানান, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মেকাবেলার জন্য সরকার বেশকিছু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা বিগত তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সরকার দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, ভোক্তাবান্ধব ও রাজস্ব বান্ধব ডিজিটাল এনবিআর গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক ও কর-বান্ধব পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে। সহজ আয়কর পরিগণনার জন্য ই-ক্যালকুলেটর ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হয়েছে।