নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মিয়ানমারের বলপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গারা চরম বঞ্চিত। এদের কাছ থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ প্রায় সকল মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশ সফররত রোটারি ইন্টারন্যাশনালের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান পল এ. নেটজেল বৃহস্পতিবার স্পিকারের সংসদের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা ৬৩তম সিপিসি, বাংলাদেশে রোটারির কার্যক্রম ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, রোহিঙ্গারা সমাজের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী। দিশেহারা রোহিঙ্গরা যখন ঠিকানার খোঁজে দিকবিহীন, তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আশ্রয় দিয়ে সূচনা করলেন মানবতার নবদিগন্ত। মানবেতর জীবন যাপনকারী নারী ও শিশুদের প্রতি সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণে তিনি রোটারি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এ সময় তিনি জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত পাঁচ দফার আলোকে মিয়ানমারের প্রতি চাপ বৃদ্ধির জন্য রোটারি ইন্টারন্যাশনালকে সোচ্চারের তাগিদ দেন।
স্পিকার বলেন, ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেয়। সিপিসি’র সফল আয়োজন বিশ্বে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। ৬৩তম সিপিসি সফলভাবে আয়োজন করায় রোটারি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যানকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
পল এ. নেটজেল বলেন, বিশ্বকে পোলিও মুক্ত করতে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এ কার্যক্রমের আওতায় ২০০ কোটি টাকার কার্যক্রম চলমান। এর ধারাবাহিকতায় সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, ক্যান্সার হাসপাতাল, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন ও আর্সেনিক দূরীকরণে রোটারি ক্লাব বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের আবাসন ও অন্যান্য সেবায় রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহযোগিতার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রসংশা করেন।
এ সময় স্পিকার রোটারি কার্যক্রমের সঙ্গে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এতে জনগণের প্রতিনিধিগণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ উন্নয়নের আওতায় আসবে-অর্জিত হবে কাঙ্খিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০।