বিনোদন প্রতিবেদক : স্বামী পারভেজ সানজারির জামিনের বিরোধিতা করে কণ্ঠশিল্পী মিলা ইসলাম আদালতকে বলেছেন, ‘আমার লাইফটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমার জন্য এটা একটা বড় ধাক্কা।’
পারভেজ সানজারির বিরুদ্ধে মিলার দায়ের করা যৌতুক আইনের মামলায় সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে জামিন আবেদনের শুনানিতে এ কথা বলেন মিলা।
দ্বিতীয় দফায় জামিনের মেয়াদ শেষ হতে যাওয়ায় সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন সানজারি।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী কণ্ঠশিল্পী মিলা। শুনানিতে মিলা তার স্বামী সানজারির জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। মিলা বলেন, ‘আমি তার (সানজারি) সঙ্গে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছি। আমার আব্বাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। তাকে ফোন দিলে সে আমার ফোন ধরে না। কোনো রিপ্লাই দেয় না। এরপর আমি একদিন তার বাসায় গেলাম। কিন্তু সে আমাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। আমার লাইফটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটা আমার জন্য একটা বড় ধাক্কা। মিলা তার স্বামীর জামিন বাতিলের জন্য বিচারককে অনুরোধ করেন।’
মিলা বলেন, ‘আদালতে এসে আমি তার (সানজারি) হাত ধরে বসার চেষ্টা করি। তার সঙ্গে সংসার করার কথা বলেছি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। সে কোনো ধরনের আপোশ মানছে না। সে আমার থেকে পলাতক। আমার স্বামী আছে, কিন্তু সে কোথায় আছে?’
মামলা করতে গিয়ে তার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে উল্লেখ করেন মিলা। কোনো ধরনের সুরাহা হচ্ছে না, আদালতকে জানিয়ে সানজারির জামিন বাতিলের অনুরোধ করেন তিনি।
সানজারির পক্ষে তার আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর থেকে ছেলেটা ঘুমাতে পারছে না। তার ভিতর একটা আতঙ্ক ঢুকে গেছে। যে কোনো সময় একটা অঘটন ঘটে যেতে পারে। তার (মিলা) সঙ্গে সংসার করা যায় না। সানজারিকে জেলে পাঠানো, তার চাকরি চলে যায় এটাই হচ্ছে তার (মিলা) টার্গেট।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুই পক্ষের উদ্দেশে বলেন, ‘তারা প্রেম করে বিয়ে করেছে। চেষ্টা করে দেখেন সংসারটা টেকানো যায় কি না।’ এরপর বিচারক আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সানজারির জামিন বর্ধিত করে তাদের সমঝোতার পরামর্শ দেন।
গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে মিলা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরই সানজারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পর দিন পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সানজারিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ২৫ অক্টোবর সানজারিকে জামিন দেন আদালত।
এদিকে মিলার দায়ের করা মামলায় বলা হয়, বিয়ের পর পর্যায়ক্রমে কয়েকবার এ ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৩ অক্টোবর তাকে মারধর করা হয়। এর আগে তার স্বামী ৫ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছেন। আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেয়ে তার স্বামী তাকে মারধর করেছেন। একটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের পাইলট পারভেজ সানজারির সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে মিলার প্রেমের সম্পর্কের পর গত ১২ মে তারা বিয়ে করেন।