নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাস স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। এক হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি বরিশালের বাকেরগঞ্জ এবং পটুয়াখালীর দুমকি ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় বাস্তবায়ন করবে সরকার।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর এনইসি সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায় বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবারের একনেকে তিন হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মংলা বন্দর চ্যানেলে ডেজিং প্রকল্প। ৭১২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মংলা বন্দর অ্যাংকারেজে ১০ দশমিক পাঁচ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য চ্যানেলের আউটার বার এলাকার নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘মংলা বন্দরের অবস্থানগত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ ভারত, নেপাল ও ভুটানের মালামাল হ্যান্ডলিং ও পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। পদ্মা সেতু, খুলনা-মংলা পর্যন্ত রেল লাইন, খানজাহান আলী বিমান বন্দর, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং মংলা এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পর এই বন্দরের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে মংলা বন্দরের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার জন্য সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ পরিচালনা করতে হবে। এ লক্ষ্যে পশুর চ্যানেলের আউটার বার এলাকায় প্রয়োজনীয় ড্রেজিংয়ের জন্য এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো- শালিখা (মাগুরা) আড়পাড়া-কালিগঞ্জ (ঝিনাইদহ) জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্প,যার ব্যয় হবে প্রায় ১১০ কোটি টাকা। বরিশাল (দিনারের পুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকী মহাসড়কে রাঙ্গামাটি নদীর ওপর গোমা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, যার ব্যয় হবে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা। বৃহত্তর খুলনা ও যশোর জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প,যার ব্যয় হবে প্রায় ১২৭ কোটি টাকা। বৃহত্তর বগুড়া ও দিনাজপুর জেলা ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প,ব্যয় হবে প্রায় ৯০ কোটি টাকা । ভেড়ামারা (বাংলাদেশ) বহরমপুর (ভারত) দ্বিতীয় ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন (বাংলাদেশ অংশ) নির্মাণ প্রকল্প, ব্যয় হবে ১৮৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। জাতীয় চিত্রশালা এবং জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের সম্প্রসারণ ও অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প, ব্যয় হবে প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা। ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প, ব্যয় হবে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। ইনস্টিটিউট অব বায়েইকুভ্যালেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প, যার ব্যয় হবে প্রায় ৯১ কোটি টাকা।