ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথমবারের মতো ঢাকায় বসেছে এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপের ২০তম আসর। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৩৫টি দেশের তিন শতাধিক তীরন্দাজরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ার আরচ্যারিদের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
এশিয়ার তীরন্দাজদের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এ অঞ্চলে আরচারির জন্য নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করবে, এমনই বিশ্বাস আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ। আর আরচ্যারি উন্নয়নে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন মহাসচিব শাহেদ রেজা। এবারের আসরে সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে এ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছেন ২০১৬ রিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ুন সু ইয়াংক ও কি বো বে। কম্পাউন্ড থেকে রিকার্ভ ইভেন্টে কোরিয়াই ফেভারিট। দলটির সদস্য চিন থাক কিম বলেন, কম্পাউন্ড ও রিকার্ভ ইভেন্টে আমরা সেরা। আমাদের দলে দুজন অলিম্পিক সোনাজয়ী আছে। তাই দলগত ও ব্যক্তিগত ইভেন্টে আমরা সেরা হতে চাই। তবে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়াটা চ্যালেঞ্জ। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও আসল লড়াই শুরু হবে (২৭ নভেম্বর) সোমবার থেকে। রোববার আরচ্যারদের স্ট্যান্ডিং নির্ধারণ করা হবে। পরেরদিন থেকেই পদক লড়াই শুরু হবে। রিকার্ভ পুরুষ দলগত, রিকার্ভ নারী দলগত, রিকার্ভ পুরুষ একক, রিকার্ভ নারী একক, কম্পাউন্ড পুরুষ দলগত, কম্পাউন্ড নারী দলগত, কম্পাউন্ড পুরুষ একক, কম্পাউন্ড নারী একক, রিকার্ভ মিশ্র দলগত এবং কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে হবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিযোগিতা। ২০০৫ থেকে বাংলাদেশ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছে। টুর্নামেন্টের ২০তম আসরে এসে লাল সবুজের দেশ প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে এশিয়ান আরচ্যারি। স্বাগতিকদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন ১৮ জন। যার মধ্যে ৮ জন রিকার্ভে এবং ৮ জন কম্পাউন্ডে। নয় মাসের প্রস্তুতি ক্যাম্প শেষে নিজেদের মূল আসরের জন্য ঝালিয়ে নিয়েছেন আরচ্যারিরা। এশিয়ান ২০তম আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দল :
রিকার্ভ পুরুষ ও নারী দল : রোমান সানা, ইব্রাহিম শেখ রেজওয়ান, তামিমুল ইসলাম, হাকিম আহমেদ রুবেল, বিউটি রায়, রাদিকা আক্তার শাপলা, নাসরিন আক্তার, নাসরিন আক্তার এবং রাবেয়া খাতুন।
কম্পাউন্ড দল পুরুষ ও মহিলা দল : আবুল কাশেম মামুন, মিলন মোল্লা, নাজমুল হুদা, এহসান আহমেদ, সুস্মিতা বণিক, রোকসানা আক্তার, বন্যা আক্তার এবং বিপাশা আক্তার।