ক্রীড়া প্রতিবেদক : ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারীতে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়া কাপের আসরটি চিনিয়েছে দীর্ঘদেহী এক ক্রিকেটারকে। কোচ মহসীন মন্টুর নজরে এসে খুলনা বিভাগ থেকে বাছাই হয়ে এসেছেন ঢাকায়। পেয়েছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলে প্রতিনিধিত্ব। সেই আসরে কুয়েতের বিপক্ষে ৪ চার ৬ ছক্কায় মাত্র ১৬ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে নির্বাচকদের মুগ্ধ করেছে যে ছেলেটি, ১৭ বছরের সেই ছেলেটিই কৌশিক থেকে এখন সবার প্রিয় মাশরাফি।
ব্যাটিং নয়, ইনজুরির সঙ্গে লড়েও হতোদ্যম নন। হাঁটুর লিগামেন্টে পাঁচ পাঁচবার জটিল অপারেশনের পরও মাঠে লড়াকু সেনাপতি মাশরাফি। তার নেতৃত্বে একটার পর একটা ইতিহাস রচনা করে চলেছে বাংলাদেশ।
ক্যারিয়ারের শুরুতে ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারতেন বলে সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস হিসেবে। সেই নামটি পত্রিকায় পাতায় শিরোনামে প্রথম ব্যবহার করেছিলেন যিনি, তিনি শামীম চৌধুরী।
২০০১ সালে এশিয়া অনুর্ধ্ব-১৭ ক্রিকেটে নিজেকে চেনানো মাশরাফি সে বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভারত সফর করেছেন বাংলাদেশ দএ’ দলের হয়ে। মাশরাফির প্রথম সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন শামীম চৌধুরী, গনমাধ্যমে প্রথম সে সাক্ষাতকারটি গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে দৈনিক ইনকিলাবে। সাক্ষাতকারে ব্যবহৃত ছবিটি মাশরাফির পাসপোর্ট থেকে নেয়া।
নড়াইল এক্সপ্রেস নামে মাশরাফিকে সারা বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দেয়া শামীম চৌধুরী এখন অনলাইন পোর্টাল নিউজ জির ক্রীড়া সম্পাদক।
জমকালো আয়োজনে মাশরাফি বিন মর্তুজা ফ্যান গ্রুপ তাদের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে সম্বর্ধিত করেছে শামীম চৌধুরীকে। মাশরাফি মানে ভালবাসা,মাশরাফি মানে শ্রদ্ধা,মাশরাফি মানে অনুপ্রেরণা। কোটি হৃদয়ের ভালবাসায় সিক্ত মাশরাফি ফ্যান গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ইতোমধ্যে ছাড়িয়েছে ১০ লাখ। মাশরাফির প্রতিটি সাফল্যে তারা করে উৎসব। মাশরাফির সুখে-দু:খে থাকে এই গ্রুপের সবাই এক কাতারে। মাশরাফির জন্মদিনসহ প্রতিটি মাইলস্টোন করে উদযাপন। মাশরাফি ভক্তরা কেক কেটে ফ্যান গ্রুপের তৃতীয় বর্ষপূর্তি পালন করেছে ১ ফেব্রুয়ারি।
উত্তরার একটি কনভেনশন সেন্টারে মাশরাফির দীর্ঘদিনের বোলিং পার্টনার নাজমুল হোসেন এই অনুষ্ঠানে ছিলেন উপস্থিত। কেক কেটে মাশরাফি বিন মর্তুজা ফ্যান গ্রুপের তৃতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শামীম চৌধুরীর হাতে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
সম্মাননা পেয়েছেন ২০০৪ সালে ভারত,২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া,২০০৬ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয়ে প্রতিনিধিত্ব করা পেস বোলার নাজমুল হাসান। বাংলাদেশের ক্রিকেটে স্মারক সংগ্রহে পরিচিত মুখ জসিমউদ্দিনকেও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিয়েছে ফ্যান গ্রুপটি।
ক্রীড়া সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল, বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রিয় মুখ আইসিসির সেরা ক্রিকেট ফ্যান টাইগার মিলনকে দেয়া হয়েছে সম্মাননা। মাশরাফিয়ান অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত মাসুদ রানা, টপ কন্ট্রিবিউটার কাওসার আলম ও জাহাঙ্গীর আলম,বেস্ট অফ লাইনার মুমিন খান,অফ লাইন কন্ট্রোলার নাবিল আহমেদ পেয়েছেন পুরস্কার।
আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়েছে কৃঞ্চা চাঁদকে। ফ্যান অব বিডি টাইগার্সের তানভীর তুহিন,বিডি টাইগার্সের মাসুদ রানা,ক্রিকেট খোর এর কাওসার আলম, মাশরাফি ফ্যান গ্রুপের ফারহান খান হিমেন পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা। অনুষ্ঠানে মাশরাফিকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেছেন শাহরিয়ার শাহীন।