রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে উড়ন্ত সূচনা বাংলাদেশের

editor
জানুয়ারি ১৫, ২০১৮ ৫:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেসেখেলেই জয় পেল বাংলাদেশে। ১৭১ রানের টার্গেটে আট উইকেট ও ১২৯ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিব-তামিমরা। সাকিবের অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সের পাশপাশি তামিমের দৃঢ় প্রত্যয়ী ব্যাটিং দলের জয় সহজ করে দেয়।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইতিহাসে ৯৯তম ওয়ানডেতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি।
প্রথমে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে ৪৯ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৭০ রান করতে পারে। লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। সিকান্দার রাজার বলে শন আরভিনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। ১৪ বলে চারটি চারে ১৯ রান করে বিদায় নেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামা বিজয় অবশ্য মারমুখি খেলে বিদায় নেন।
রাজার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। তবে জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ে এই দুটি সাফল্যই এসেছে। বাকিটা সময় দাপটে সঙ্গে খেলেন তামিম ও মুশফিক। বিশেষ করে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করে যান ড্যাশিং ওপেনার তামিম। ৯৩ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কায় ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন দেশ সেরা এ ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৯তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার তামিম। ১৪ রানে অপরাজিত থেকে তার সঙ্গী হন মুশফিক।
এর আগে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে চলে স্বাগতিক বোলারদের দাপট। কোনঠাসা সফরকারীরা নিজেদের ইনিংস লম্বা করতে পারেনি। প্রথম ওভারেই সোলোমন মায়ার (০) ও ক্রেইগ আরভিনকে (০) সাজঘরে পাঠান সাকিব আল হাসান। ইনিংসের প্রথম বলে মায়ারকে স্ট্যাম্পিং করে ব্রেকথ্রু এনে দেন মুশফিক। সাব্বির রহমানের তালুবন্দি হন আরভিন।
অভিজ্ঞ ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (১৫) মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে উইকেটের খাতায় নাম লেখান মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৩০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মুখেই পড়ে সফরকারীরা।
দলীয় ৫১ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মুশফিকের রহিমের গ্লাভসবন্দি হন ব্র্যান্ডন টেইলর (২৪)। আর স্পিনার সানজামুল ইসলামের বলে সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ম্যালকম ওয়ালার (১৩)।
রান আউটের মাধ্যমে বিদায় নেন সফরকারীদের হাল ধরা সিকান্দার রাজার। ৯৯ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করে বিদায় নেন তিনি। রুবেল হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানে বিদায় নেন দলটির অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার। এ সময় সপ্তম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তাকে ফিরিয়ে ব্যক্তিগত তৃতীয় উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।
৪৮তম ওভারে পর পর দুই বলে পিটার মুর (৩৩) ও তেন্দাই চাতারাকে (০) বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান রুবেল হোসেন। কিন্তু ব্লেসিং মুজারাবানিকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেটের পতন ঘটান মোস্তাফিজুর রহমান। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন সাকিব। রুবেল ও মোস্তাফিজ দুটি করে উইকেট দখল করেন। একটি করে উইকেট পান মাশরাফি ও সানজামুল।
হোম কন্ডিশন, প্রতিপক্ষের শক্তি, নিজেদের পারফরম্যান্স, অভিজ্ঞতা সবকিছু মিলিয়ে অধরা ট্রফি জয়ের এটাই সেরা সুযোগ। কখনোই ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের শিরোপা না জেতার আক্ষেপ ঘোঁচাতে চোখ রাখছে মাশরাফির দল। আগামী ১৯ জানুয়ারি হাইভোল্টেজ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে শেষ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০০৯ সালের শিরোপা নির্ধারণীতে লঙ্কানদের কাছে ২ উইকেটে হারের হতাশায় ডুবেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এবার প্রথমবারের মতো শিরোপা দেশে রেখে দিতে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা। এরই লক্ষ্যে শুভ সূচনাও হয়ে গেল।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial