ঢাকাMonday , 20 March 2023
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নতুন বাজার খুঁজুন, রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনুন: প্রধানমন্ত্রী

editor
March 20, 2023 12:48 pm
Link Copied!

আজকের প্রভাত ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে টেকসই রফতানি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, বাংলাদেশি পণ্যের জন্যে নতুন বৈশ্বিক বাজার খুঁজে বের করা এবং রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার উপায় খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার (২০ মার্চ) নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে রফতানি বিষয়ক ১১তম বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশি পণ্যের জন্যে বিশ্বব্যাপী নতুন বাজার খোঁজার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের এসব বাজার ধরতে হবে।
তিনি বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, যুদ্ধের নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশে যেসব চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ তৈরি হতে পারে তা বিশ্লেষণ করে নতুন রফতানি নীতি গ্রহণ করা উচিত।
এছাড়া ২০২৪ সাল নাগাদ মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া বিদ্যমান রফতানি নীতিমালার সংশোধন, পরিবর্তন ও উন্নয়ন করে আরও চার কিংবা পাঁচ বছরের জন্যে নতুন রফতানি নীতিমালা প্রণয়নেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রফতানি বৃদ্ধির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। এছাড়া কিছুই অর্জন করা যাবে না।
সরকারপ্রধান বলেন, একটি দেশের অর্থনীতি মূলত রফতানির ওপর নির্ভর করায় আমরা রফতানি বাড়াতে অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে নিয়ে ভাবছি। এর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী রফতানি বাড়াতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার তাদের সব ধরনের সহায়তা দেবে। রফতানি বাড়ানোর জন্য আমরা বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি এবং এর জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রফতানি খাতের বিকাশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বেসরকারি খাতের জন্য সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছিল।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্ষয়ক্ষতি পূরণের জন্য তাঁর সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি আয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৩৭ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয় ছিল ৩৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, আমরা কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও রফতানির প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় রফতানি থেকে আয় ছিল ১৬ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
শেখ হাসিনা রফতানির জন্য নতুন বাজার খুঁজে বের করতে এবং পোশাক, ওষুধ ও ডিজিটাল ডিভাইসসহ রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল ডিভাইসের চাহিদা বাড়ছে, তাই একে গুরুত্বপূর্ণ রফতানি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন বাজার অন্বেষণ করতে হবে এবং রফতানি পণ্যের মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। চার থেকে পাঁচটি রফতানি পণ্য ঠিক করতে হবে। অনেক দেশ আমাদের পণ্য আমদানি করতে চায়। তাই কোনও দেশের কোনও পণ্য দরকার সেটি আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।
বিশ্বজুড়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারের চাহিদা বৃদ্ধিকে বিবেচনায় রেখে প্রধানমন্ত্রী ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীতা উল্লেখ করে বলেন, অনেক দেশ আমাদের খাদ্য আমদানি করতে ইচ্ছে প্রকাশ করছে। এজন্য আমাদের খাদ্য সামগ্রী রফতানিতে মনোযোগ দিতে হবে।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial