ঢাকাবুধবার , ৮ মার্চ ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

editor
মার্চ ৮, ২০২৩ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শুভ দেব চাকমা : নারী ও পুরুষের সম-অধিকার সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী নিপীড়ন নির্যাতনে অবসান ঘটিয়ে নারীদের উপর যৌননিপীড়ন নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধের অঙ্গীকার নিয়ে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৩৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হতে যাচ্ছে।
সত্তর দশকে জাতিগত নিপীড়ন, পারিবারিক দাসত্ব ও বঞ্জনার বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির নেতৃত্বে জুম্ম নারী মুক্তি আন্দোলন শুরু হয়। উত্তাল দশকে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের উপর শাসক গোষ্ঠীর দমন -পীড়নের পাশাপাশি জম্ম নারীর উপর নির্যাতন – নিপীড়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সমাজকে সচেতন করে তোলে। ফলে জম্ম নারীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলনে জুম্ম ছাত্রী সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালের ৮ মার্চ ছাত্রী সংগঠন ” হিল উইমেন্স ফেডারেশন ” গঠিত হয়। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর থেকে হিল উইমেন্স ফেডারেশন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীদের ক্ষেত্রবিশেষে অধিক অবদান থাকলে ও আমাদের দেশে নারী সমাজ জাতিগত, ভাষাগত সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। অথচ সংবিধানে ২৮ (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে- কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ- নারী- পুরুষ নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। সংবিধানে এই ধারাটি বাস্তবায়িত হলে সমাজে নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা নিশ্চিত করা যেত। উক্ত ধারাটি বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে এখন ও শোষণ -বঞ্চনা, অবহেলা, নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার হয়ে চলেছে আদিবাসী নারীরা। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ২০১৯ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ৪৫ শতাংশের ও বেশি কর্মক্ষেত্রে সংহিতার শিকার হয়েছে।এদের মধ্যে ৬১ শতাংশ জানিয়েছেন যে তারা বাজারে এলাকায়, ৪৫ শতাংশ মাঠে,৬ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ৩ শতাংশ কর্মস্থলে সহিংসতা সম্মুখীন হয়েছেন। আবার ৩৩ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতন, ৩৮ শতাংশ মানবিক নির্যাতন, ১৯ শতাংশ অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং ৫ শতাংশ যৌন নির্যাতনে শিকার হয়েছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে এমন তা হচ্ছে বলে মনে করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি শ্রী: উষাতন তালুকদার নারী পুরুষের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠাকল্পে ডিজিটাল নীতি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ব্যবহার ও দক্ষতা অপরিহার্য। পার্বত্য চট্টগ্রামে এহেন অনিশ্চিত ও নাজুক পরিস্থিতিতে সমঅধিকার সমমর্যাদা নিশ্চিতকল্পে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial