ঢাকাশুক্রবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাফুফের প্রেসিডেন্ট হতে ৩০ কোটি টাকার বাজেট!

editor
সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯ ১২:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দেলোয়ার হোসেন: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের এখনও বেশ দেরি, গুণে গুণে প্রায় আট মাস। অথচ নির্বাচনের দমকা হওয়া যেন মাঠে। এরই মধ্যে উঠে পড়ে লেগেছেন সম্ভাব্য সভাপতি পদপ্রার্থী তরফদার মো: রুহুল আমিন। টাকা উড়াচ্ছেন দেদার। ভোটারদের সমর্থন পেতে বিরাট আর্থিক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন চট্টলার এ বিলিওনিয়ার। বাফুফে নির্বাচনে মোট ভোটার ১৩৪। টাকার বিনিময়ে এই ১৩৪ ভোটারকে আগেভাগেই নিজের করে নিতে চাইছেন তরফদার রুহুল আমিন। তবে যতদূর জানা গেছে, ফিফা- এএফসির শেন দৃষ্টিও তার দিকে। ব্যাপারটা নাকি এরই মধ্যে ফিফা- এএফসির কানে পৌঁছে গেছে।
জানা গেছে, জেলা, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, ফুটবল এসোসিয়েশন, ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবকে মোটা অঙ্কের আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি জনপ্রতি ভোটারদেরও বড় ধরনের অর্থিক সুবিধে প্রদান করছেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী তরফদার মো; রুহুল আমিন। বেশ কয়েকজন ভোটার এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তরফদার রুহুল আমিনের কাছ থেকে তারা ইতিমধ্যে বেশ আর্থিক সুবিধে পেয়েছেন। এরমধ্যে একজন জানিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যে পাঁচ লক্ষ্য টাকা পেয়েছেন নির্বাচনে কাজ করার জন্য। এখানেই শেষ নয়, আরও টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তাকে।
একজন জেলা ও বিভাগীয় এক নেতা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘নির্বাচনে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পণা করেছেন তরফদার রুহুল আমিন। ভোটার প্রতি কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ভোটার ভেদে এই অঙ্ক ২০ লাখ হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
কাজী সালাউদ্দিনকে যেভাবেই হোক এবার রুখতে চান রুহুল আমিন ও তার পন্থীরা। এবং টাকাই এক্ষেত্রে এক নম্বর অস্ত্র বলে মনে করছেন তারা। তবে সবাই টাকার কাছে বিক্রি হন না। জানা গেছে, এমনই একজন ফিফার কাছে নালিশ করেছেন তরফদার মো: রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। ফুটবলের বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে কিছু প্রমাণপত্রও দিয়েছেন। এ কারণে ফিফা-এএফসি বিশেষ দৃষ্টি রাখছে বাংলাদেশ ফুটবলের ঘটনা প্রবাহের দিকে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে টাকার খেলা নতুন নয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রায় ১২ কোট টাকা খরচ করেছিলেন সাবেক এমপি কামরুল। তবে তার টাকা যথাস্থানে ব্যয় হয়নি। ভোটাররা সামান্যই পেয়েছিলেন। বেশিরেভাগ টাকাই রাঘব বোয়ালদের পকেটে ঢুকেছিল। ওই নির্বাচনে ৩৩ ভোট বেশি পেয়ে তৃতীয়বারের মতো সভাপতি হয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন।
এবারের নির্বাচনে আরও বেশি কালো টাকা উড়বে, এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের এক বছর আগে থেকেই। ফুটবল অঙ্গনের বিবেকবানরা এ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ফিফা ও এএফসি পযন্ত ব্যাপারটা চলে গেছে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। আর সেটা হলে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারেন যে কোনো প্রার্থী। সেক্ষেত্রে দেশেরও সুনাম নষ্ট বলে মনে করছেন সাবেক একজন তারকা ফুটবলার। তিনি বলেন,‘ বাফুফে সভাপতি হওয়ার জন্য এত টাকা কেন খরচ করতে হবে আমার বুঝে আসে না। টাকা থাকলেই এভাবে খরচ করেবেন? আমার মনে হচ্ছে এবার ঝামেলা হবে। যতদূর মনে হচ্চে, ফিফা ও এএফসির পাখির চোখ বাংলাদেশ ফুটবলের দিকে রয়েছে। তারা মনে হয় ব্যাপারটা পযবেক্ষণ করছে। অন্তত আমার কেন যেন তাই মনে হচ্ছে।’
আগামী বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর নির্বাচন। ওই নির্বাচনে সভাপতি পদে আবারও লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউ্দ্িদন, যিনি টানা তৃতীবারের মতো বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সালাউদ্দিনের ঘোষণার অনেক আগেই সভাপতি পদে নির্বাচেনের ঘোষনা দিয়ে রেখেছেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, সাইফ পাওয়ারটেকের কর্নধার তরফদার মো: রুহুল আমিন।
গত বছর জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষ সাধারণ সভায় ২০২০ এর এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তরফদার রুহুল আমিনকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই নির্বাচনের হিসেব কষে এগুতে থাকেন তিনি। ওই সময় ৬৪ টি জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনকে ৩ লাখ টাকা করে অনুদান দেন। এছাড়া বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ও ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবগুলোকেও প্রচুর আর্থিক সাহায্য করে যাচ্ছেন। ঘোঘণা দিয়ে রেখেছেন, সভাপতি হলে নিজের পকেট থেকে বছরে ৮০ কোটি করে টাকা চার বছরে ৩২০ কোটি ফটবলের পেছনে ব্যয় করবেন।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial