ঢাকাসোমবার , ১১ মার্চ ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিএনপি পরোক্ষভাবে এখনও বন্দি: মির্জা আব্বাস

editor
মার্চ ১১, ২০২৪ ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আজকের প্রভাত রিপোর্ট: জামিনে মুক্তি পেলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা ‘এখনও পরোক্ষভাবে বন্দি’ বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাস। সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর শাহজাহানপুরে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সব নেতাকর্মীকে এখনও ইনডাইরেক্টলি বন্দি করে রাখা হয়েছেৃ এখনও পর্যন্ত আমরা বন্দিই আছি। আমরা এখনও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারি না। ভয় লাগে কখন পুলিশ আসে, কখন নিয়ে যাবে। দেশের জনগণ ও জাতি আজকে বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘রমজান শুরু হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের শাসনামলে কোনও একটা সময় পাইনি যে, এই দেশের লোক স্বস্তিতে রমজান পালন করেছে। আমি বাজারে কম যাই, কিন্তু বাজারের টাকাটা আমাকেই দিতে হয়। আমি খেয়াল করলাম— যে টাকা আগে দিতাম, এখন বেশি টাকা দিলেও সেই টাকায় হয় না। বাজারের জন্য কাউকে টাকা দিলে বলে যে— স্যার, এই টাকায় হবে না। যে মাছটা কিনে ছিলাম এত টাকা দিয়ে সেই মাছটা আরও বেশি টাকা দাম। আমার বিশ্বাসই হয় না।’
‘মাঝে মাঝে একটা কৈ মাছের দাম শুনে অবাক লাগেৃ ভাবতেই পারি না। জেলখানায় একটা ডিমের দাম ২০ টাকাৃ আমি শুনে আকাশ থেকে পড়লাম।’
মির্জা আব্বাসের মন্তব্য, ‘সব মিলিয়ে রমজান মানুষের জন্য কতটুকু স্বস্তিদায়ক হবে, তা নিয়ে অনেক সন্দেহ আছে। এককথায় রমজান স্বস্তিদায়ক হবে না। এই রমজানের মধ্যেও জিনিসপত্রে দাম বাড়বে। কোনোটাই কমবে না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এবারের মতো জেল কিন্তু আমি কখনও খাটি নাই। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে আমার জেল জীবন শুরু হয়েছে। আমি নিরেট মাটির ফ্লোরের মধ্যে শুয়েছিৃ নট সিমেন্ট। নিরেট মাটির মধ্যে শুয়েছি। অ্যালুমিনিয়ামের ভাঙাচোরা আঁকা-বাঁকা প্লেট, অ্যালুমিনিয়ামের গ্লাস— এরমধ্যে পানি খেতে হয়েছে। সেই থেকে এ যাবত— প্রথম যখন জেল খাটি, তখন আমার বয়স ২৭ বছর। আজকে আমার বয়স ৭৭ ছুঁই ছুঁই। এবারের জেলখানা একটু ব্যতিক্রম।’
‘সবাই সব সুবিধা পাচ্ছে। যখনই আমরা বলি— আমরা একটু বাইরে হাঁটবো, আমার ডায়াবেটিস আছে, আমার হার্টের সমস্যা আছে। তখন বলে— না স্যার, হাঁটা যাবে না। আমরা বলি, ওই যে হাঁটছে। তারা বলেন, ওরা আর আপনারা এক নন, দেওয়া যাবে না। যেটা আমার প্রয়োজন সেটা দিতে ওদের বাধা। এভাবে কোনও সুবিধা জেলখানায় আমাদের দেওয়া হয়নি। এমনকি চিকিৎসা সুবিধাও তারা দেয়নি। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কথা বললে, বলে কিনা— না স্যার, নিষেধ আছে। কোনও ডাক্তার আনা যাবে না।’
আব্বাস বলেন, ‘এবারের জেল ছিল সবদিক থেকে কষ্টকর। এক সময় বয়স (কম) ছিল তখন কিছু মনে হয়নি। এখন বয়স হয়েছে। এবার যখন জেলে ঢুকি আমার এক ট্রাংক ভর্তি ওষুধ ছিল। অর্থাৎ ৩০ ইঞ্চি বাই ২২ ইঞ্চি একটা ট্রাংক ছিল, যাতে সব ধরনের ওষুধ ছিল। তারপরেও কোন ওষুধ কোন সময়ে লেগে যায়, ঠিক তো নাই। এ অবস্থা নিয়ে আমরা জেল থেকে মুক্তি পেয়েছি।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা তো সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়েছি। আমাদের তো আর খালাস করে দেয়নি। অসুস্থতার জন্য জামিন দিয়েছে। আমরা এখন ওই যে খাঁচায় পোষা মুরগির মতো অনেকটা, যখন দরকার নিয়ে যাবে আবার।’
‘আমাদের প্রায় যতগুলো ছেলের জামিন হয়েছে, তারা খুশি হয়েছে। আমি তাদের বললাম— জামিনে খুশি হয়েও না, খালাস হলে খুশি হইওৃ খালাস তো দেয়নি। বিএনপির সব নেতাকর্মীকে এখনও ইনডাইরেক্টলি বন্দি করে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমরা বন্দি আছি,’ বলেন আব্বাস।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial