ঢাকাSaturday , 7 December 2019
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে এমন অবস্থা ছিল দেশে: প্রধানমন্ত্রী

editor
December 7, 2019 12:19 pm
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল। খুনিকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয়েছিল। হত্যাকারীদের নানাভাবে মদদ দেওয়া হয়েছিল। হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি বিল জারি করা হয়। আমরা যারা ভুক্তভোগী ছিলাম আমাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ ছিল না। সেই সময় দেশে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে এমন অবস্থা ছিল। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আর কেউ বছরের পর বছর অতিবাহিত করুক আমরা তা চাই না।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিচার বিভাগের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল, বিচার বিভাগ সেই অবৈধ সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে। এ সাহসী ভূমিকার জন্য বিচার বিভাগকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
সবারই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সকল নাগরিক যাতে আইগত সহায়তা পায় সেজন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা- ন্যাশনাল লিগাল এইড সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, নুসরাত (ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী) হত্যাসহ অনেক মামলার রায় দ্রুত ঘোষণায় আমি মনে করি বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। জাতির পিতার হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অনেক বাধা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, বাধা সত্ত্বেও আমরা এসব মামলার বিচার করতে সক্ষম হয়েছি।
সন্ত্রাসীদের হামলায় দু’জন বিচারক নিহতের ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, বিচারকদের নিরাপত্তা সবার আগে দরকার। এজন্য আমরা বিচারকদের আবাসন ও গাড়ি সুবিধা বৃদ্ধি করেছি। বিচারকদের আবাসন ব্যবস্থা একটু ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে লাইব্রেরি, বসে চিন্তা করার মতো জায়গা রাখা হয়েছে। এছাড়া বিচার বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটে পৃথক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিচারকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন নতুন ভাতা চালু করা হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ধারাবাহিকতায় বিচার বিভাগেও ই-জুডিশিয়ারি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ইংরেজিতে লেখার পাশাপাশি বাংলায়ও রায় লেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ ইংরেজি না জানার কারণে রায়ে কী বলা হয়েছে তা অনেকেই জানতে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে বিচারকদের এজলাসে বসার জায়গা ছিল না। আমরা অ্যানেক্স ভবন তৈরি করে দিয়েছি। সারা দেশে আরও বেশি বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নারী বিচারক নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে আগে নারী বিচারক ছিলেন না। আমাদের সময়ে হাইকোর্টে প্রথম বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, একটি দেশের উন্নয়নে নারী-পুরুষ সকলের ভূমিকা থাকা দরকার।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial