ক্রীড়া প্রতিবেদক : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কৃতি খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানী পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজিবি’র মোট ১৮৯ জন কৃতি খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, এমপি, বিজিবি’র মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, বিএসপি, বিজিবিএম, এনডিসি, পিএসসি, পি ইঞ্জ, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, ভাইস প্রেসিডেন্ট অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, শেখ বশির আহমেদ মামুন, বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সভাপতি লে: জেনারেল মাইনুল ইসলাম, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) দীল মোহাম্মদ সহ বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন কর্মকর্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কৃতি খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানটির সার্বিক ত্বত্তাবধানে ছিলেন বিজিবির’র ক্রীড়া সচিব ও বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে: কর্ণেল মো: নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বীরত্ব ও ঐতিহ্যের ধারক এক সুশৃঙ্খল আধা-সামরিক বাহিনী। দেশের ভৌগলিক সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং কোটি জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ও দায়িত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে এ বাহিনীর অকুতোভয় সৈনিকেরা সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকে। তিনি আরো বলেন, বিজিবি সদস্যদের খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গনে সম্পৃক্ত করে তাদের কর্মক্ষম ও উজ্জীবিত রাখার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখার লক্ষ্যে ১৫টি ক্রীড়া দলে বিজিবি’র খেলোয়াড়গণ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করছে।
এগুলো হলো- ভলিবল, হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, কুস্তি, জুডো, কারাতে, তায়কোয়ানডো, বক্সিং, ভারোত্তোলন, কাবাডি, সাইক্লিং, এ্যাথলেটিক, আরচ্যারী ফেন্সিং এবং উশু।
এসব দলের জন্য খেলাধূলার সরঞ্জামাদি ক্রয় ও ক্রীড়া খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশী কোচের অধীনেও দীর্ঘ সময় প্রশিক্ষণ করানো হচ্ছে। বিজিবি’র খেলোয়াড়দেরকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তাদের সম্মানী ও পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। এসব পদক্ষেপের ফলে ক্রীড়াঙ্গনে বিজিবি’র খেলোয়াড়দের সাফল্য পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতেও বিজিবি’র খেলোয়াড়দের মানোন্নয়নে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে।
মহাপরিচালক তার বক্তব্যে আরো উল্লেখ্য করেন, ২০১৮ সাল হতে বিজিবি দিবসে বিজিবি’র ১৫টি দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে যে সকল খেলোয়াড় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধূলায় অসামান্য কৃতিত্ব অর্জন করবে তাদের মধ্য হতে কমপক্ষে ১ জনকে পদকের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, বিজিবি’র ১৫টি দল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছে। ২০১৭ সালে বিজিবি খেলোয়াড়গণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৪টি খেলায় অংশগ্রহণ করে ২০টি স্বর্ণ, ১৯টি রৌপ্য এবং ১৪টি তাম্র পদক পদক অর্জন করে বিজিবি তথা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে। এছাড়া জাতীয় ও ফেডারেশন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিজিবি ২৩টি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১১টি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং ০৪টি প্রতিযোগিতায় রানার আপ এবং ০৩টি প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
এছাড়াও ব্যক্তিগত ইভেন্টে ৩২ টি স্বর্ণ, ৩১ টি রৌপ্য এবং ২৪ টি তাম্র পদক অর্জন করে। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিজিবি‘র এ সাফল্যের মাধ্যমে বিজিবি তথা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ক্রীড়াঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।