ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিভিন্ন দেশে যারা ভ্যাকসিন তৈরি করছেন এদের মধ্যে যারা আগে তৈরি করবেন তাদের ভ্যাকসিনই আমরা নিবো। ভ্যাকসিন তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি, তারাও আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে। আশা করছি সময়মতো আমরা ভ্যাকসিন পাব। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত ‘শতাব্দীর মহামারি- বাস্তবতা ও আমরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, সামনে শীত মৌসুম আসছে। তখন করোনা বাড়তে পারে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীও সতর্ক থাকতে বলেছেন। আমরা জানি শীত মৌসুমে বিয়ে, পিকনিক এসব বেশি হয়। এগুলো একটু সীমিত আকারে করার অনুরোধ জানাই। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাহলে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত ও আমাদের খাওয়া-দাওয়া, পরিবেশ সবই প্রায় একরকম। অথচ সেখানে মৃত্যু সংখ্যা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। আমাদের চিকিৎসা হয়তো তাদের থেকে ভালো বলেই আমাদের মৃত্যু সংখ্যা কম। আমাদের সুস্থতার হার অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। কিন্তু তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমাতে চাই।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, সোস্যাল ডিসটেন্সিং বাংলাদেশে অসম্ভব। তাই আমরা ফিজিক্যাল ডিসটেন্সে এখন গুরুত্ব দিয়েছি। পৃথিবীর অনেক দেশই সোস্যাল ডিসটেন্স নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক গাইডলাইন দিয়েছি। সবাই সেটা না মানলেও অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন। তাই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গ্রাম-গঞ্জের অবস্থা অনেক ভালো। আমরা আশা করি সবাই মিলে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলা করতে পারব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।