শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১

মমতা দিদির সঙ্গে আমাদের মধুর সম্পর্ক: ওবায়দুল কাদের

editor
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সুমধুর সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা মনে করি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন সমস্যা অচিরেই সমাধান হবে।’ মঙ্গলবার কলকাতায় মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ দিনব্যাপী বিজয় উৎসবে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আমাদের উত্তরাঞ্চলে পানির সমস্যা রয়েছে। আমাদের ভারত সরকার আশ্বস্ত করেছে তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানের। আমরা চাই, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনে ন্যায়সংগত সমাধান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তা আজও অটুট। আমরা এখনো সেই বন্ধুত্বের বন্ধনে আছি এবং থাকব। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ আমাদের অভিন্ন শত্রু। এই অভিন্ন শত্রুকে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য এখনো স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রের ছুরি ও বুলেট এখনো তাড়া করছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে। সেই ষড়যন্ত্র সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। পরাজিত করতে হবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৬৮ বছরের ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। সমাধান হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে। আমাদের তিস্তা নদীর পানিবণ্টন সমস্যারও অচিরেই সমাধান হবে।’
সোমবার রাতে দুদিনের সফরে ওবায়দুল কাদের কলকাতায় যান। পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত এই বিজয় উৎসবের শুক্রবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মঙ্গলবার শেষ দিনে আরও বক্তব্য দেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বাংলাদেশের সাংবাদিক আবেদ খান এবং নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলকাতায় নিযুক্ত উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট অভিনেত্রী শমী কায়সার ও রোকেয়া প্রাচী।
অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশই পৃথিবীর বুকে বাংলাভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলা ভাষার একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করেছে।
কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন চত্বরে আয়োজন করা হয় এই বিজয় উৎসবের। এবারেও এ উৎসব ঘিরে পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা সভা। ছিল নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতি, বাউলগান, লালনগীতি, আধুনিক গান, নৃত্য, গীতিনাট্য, নাটকসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র, তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা শিল্পীরা।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial