ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীমা খাতকে মানবকল্যাণে ব্যবহারে জন্য কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আশা করি- মানবকল্যাণ এবং উৎপাদন ও ঝুঁকিমুক্ত অর্থনীতি গড়ে তুলতে কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবহার করবে। প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মঙ্গলবার বীমা সংক্রান্ত ১৫তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তথ্যের অপ্রাপ্যতা বীমা গ্রাহকদের জন্য বড় সমস্যা। বীমা খাতে গ্রাহকদের আস্থার অভাব রয়েছে। কারণ যতগুলো কিস্তি জমা দিয়েছে, তার সবগুলো কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে আদৌ জমা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে অন্ধকারেই থেকে যায় তারা। এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা প্রদান প্লাটফর্ম চালুর প্রক্রিয়া চলছে। মিউনিক রি ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ৪২ দেশের প্রায় ৪০০ বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স ডেভেলপমেন্ট রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। মিউনিখ রি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান টমাস লোস্টার ও মাইক্রো ইন্সুরেন্স নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ডবল চেম্বারলিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সহসভাপতি রুবানা হামিদ স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য আমরা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি এবং আপনারা জানেন আমরা বাংলাদেশের জন্য ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশকে জলবায়ু ঝুঁকি থেকে মুক্ত করে মানুষের জীবনমান যাতে উন্নত হয়, সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি, আমাদের যারা স্বল্প আয়ের মানুষ, যারা এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করেন, তাদের আর্থিক ক্ষতি কীভাবে মেটানো যায় এবং তাদের জীবনকে কীভাবে নিরাপদ করা যায়। আর বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য তাদের জন্য বিশেষ বীমা স্কিম যদি করে দেয়া হয়, তাহলে তারা অনেকটাই নিশ্চিত থাকতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের যদি বীমা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে সেটা একটা নতুন পদক্ষেপ নেয়া হবে। যেটা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যেসব ঝুঁকি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিভিন্ন ব-দ্বীপ অঞ্চল বা অন্য দেশগুলোয় রয়েছে, সেদেশের জনগণও লাভবান হবে।’ সম্প্রতি কিছু দেশে এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সে ব্যবস্থা বাংলাদেশেও নেয়া যেতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
