ঢাকামঙ্গলবার , ৬ অক্টোবর ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সবাইকে বলবো ধৈর্য ধরতে, প্রতিবাদ করার দরকার নেই: কাদের

editor
অক্টোবর ৬, ২০২০ ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ধর্ষণ এক ধরনের সামাজিক ব্যাধি। এটি এক ধরনের সন্ত্রাসও বটে। সরকার ধর্ষণ, হত্যার সঙ্গে জড়িত কোনও অপরাধীকে কখনও ন্যূনতম ছাড় দেয়নি। আমি সবাইকে বলবো ধৈর্য ধরতে, প্রতিবাদ করার দরকার নেই। সরকার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করছে, কাউকে রেহাই দিচ্ছে না। প্রতিবাদ বিচারের জন্য করা হচ্ছে। সরকার এ ঘটনার বিচার করছে। এ অবস্থায় যে জন্য প্রতিবাদ, সরকারই তো অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনছে।’
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ষণকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করলে বিচার বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক, তার আসল পরিচয় দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তের দলীয় কোনও পরিচয় নেই। অপরাধীর ব্যাপারে দেশরত্ন শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ধারণ করেন। আমরা আন্দোলনের রাজনৈতিক ইস্যু তুলে নিতে কাউকে অ্যালাউ করিনি। সরকার স্বপ্রণোদিত হয়েই সর ধরনের অপরাধের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেছে। সাম্প্রতিককালে বেশকিছু অপরাধের বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ধর্ষকের পরিচয় ধর্ষক, সে অপরাধী, দুর্বৃত্ত। ধর্ষণরোধে সম্মিলিতভাবে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করছে। আমাদের সভাপতির নির্দেশনা হলো, অপরাধী যত বড় নেতাই হন, যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের সরকারের অনেক এমপি মন্ত্রীকেও আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে।’
ধর্ষণ নিয়ে বিএনপির নেতাদের মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা এসব অপবাদ দেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশে একটাও কি ধর্ষণের বিচার হয়েছে। তখন সারাদেশে ধর্ষণের যে একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, তখন আপন লোকদের বিচার না করে তারা দোষ চাপিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগের ওপর। এখন কোনও আপস নেই, কোনও প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এই আমলে একটা হত্যাকাণ্ড দেখান যেখানে দলীয় নেতাকর্মী হলেও বিন্দুমাত্র ছাড় দিয়েছেন শেখ হাসিনা।’
সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ অন্যরা।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial