ঢাকাFriday , 2 October 2020
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্য: ফখরুল

editor
October 2, 2020 2:38 pm
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট: সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্য সমাবেশের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্য সমাবেশ বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিক ফল। রাখাইনে গণহত্যা ও জাতিগত নিপীড়নের মুখে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার তিন বছর পূর্তির প্রাক্কালে মিয়ানমার এটা করছে। তাই তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সরকারের প্রতি আন্তঃআঞ্চলিক কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকারের দূর্বল পররাষ্ট্র নীতি আজ মিয়ানমারের কাছে স্পষ্ট। এর পরিপূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করেই মূলত মিয়ানমার সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অযাচিত ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা সমাবেশ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ সেনা সমাবেশের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই ধরনের অপতৎপরতা রুখতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আজকে ভারত-চীন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায়। অন্যদিকে আমাদের সরকারের কোনো কথা নেই। তারা একবারে চুপচাপ থেকে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে একটি চিঠি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এই সরকার নিতে পারেনি।
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশে সরকারের ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধানে আমরা বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক সকল স্তরেই ব্যর্থ হচ্ছি। বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির সুযোগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান আজকে কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। কারণ হচ্ছে, সরকারের চরম ব্যর্থতায় বন্ধু দেশগুলোকে তাদের পক্ষে নিয়ে আসার ব্যাপারে ব্যর্থ হয়েছে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা দূর করতে হলে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন, গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করুন, বর্হিবিশ্বে দেশের আস্থা ও গ্রহনযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করুন।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, স্থায়ীভাবে শরণার্থীদের বসবাসের জন্য ভাসানচরে একটি সিটি গড়ে তোলা হয়েছে। অর্থাৎ রোহিঙ্গারা স্থায়ীভাবে এখানে থাকবে সেই বিষয়টা বোধহয় সরকার নিশ্চিত করছেন। কিন্তু স্থায়ীভাবে তাদের রাখা বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য তো নয়। এটা যে বাংলাদেশের মানুষের কত বড় সমস্যা তা কিছুদিন পরে আমরা অনুধাবন করতে পারবো। এটা একটা আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি। এটার জন্য বাংলাদেশের একটা ভয়ানক বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যেসব চুক্তি করা হয়েছিল সেটাকে সামনে নিয়ে চুক্তি করা হলে এর সমাধান হতে পারে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মিয়ানমারের ওপরে চীন ও ভারত দু’টি দেশে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। অথচ এই দু’টি রাষ্ট্রই কিন্তু এই বিষয়ে একেবারে নেগেটিভ অবস্থানে। বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্যটাই হচ্ছে যেনতেনোভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা। নিজের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌত্ব চলে যাক তাতে কোনো অসুবিধা নেই। আমাদের সীমান্তে মানুষ হত্যা হয় একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত তারা সঠিকভাবে করে না। যেসব চুক্তি হয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে না। কারণ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial