ঢাকাসোমবার , ১৪ অক্টোবর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরিষাবাড়িতে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক অতঃপর উধাও যৌনসন্ত্রাসী সুমন

editor
অক্টোবর ১৪, ২০১৯ ১:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এস, এম খুররম আজাদ, জামালপুর (সরিষাবাড়ি) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ডোয়াইল ইউনিয়নের রামানন্দপুরের মুহাম্মদ মু্ুুকুল হোসেনের কন্যা মলী আক্তার (১৮) কে পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া বাজার কূরাণী পাড়ার মুহাম্মদ মধু মিয়ার ছেলে সুমন তার বন্ধু সোহেল রানার ছোট বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে মলী আক্তার কর্তৃক সুমনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মলী আক্তারের বড় ভাই সুুুমনের বন্ধু সেই মতে সুমন প্রাই মলীদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। যাওয়া আসার সন্ধিক্ষণে বৈরী তৎপরতায় থাকা জৈবিক প্রেষণা মিটানোর কুকামরিপু উদ্বেলিত হওয়ায় (যৌনসন্ত্রাসী) সুমন মলী আক্তারকে ভালোবাসা তথা প্রেম প্রস্তাব দেয়। এমন প্রস্তাব পেয়ে মাহমুুদা সালাম মহিলা অনার্স কলেজ পড়ুয়া মলী আক্তার তা প্রত্যাখ্যানের অতঃপর সুমনকে বলেন বড় ভাইয়ের বন্ধু আপনি সেটাতেই সচেষ্ট থাকার চেষ্টা করেন, আমি দরিদ্র ঘরের মেয়ে বাবা-মার সিদ্ধান্তের ব্যতিক্রম আমি করতে পারিনা আমাকে মাফ করবেন বলে জানিয়ে দেন মলী আক্তার। তারপরেও সুমন বারবার এমন প্রস্তাব দিতে থাকে মলী আক্তারকে। মলী আক্তার বারবার না বলার শর্তেও অপকৌশলী সুমনের আবেগআপ্লুত কথোপকথন ও প্রণোদনায় এক পর্যায়ে মলী আক্তার সুমনের প্রেমে পড়ে যায়। প্রায় দুই (২) বৎসর প্রেম চলাকালে সুমনের সাথে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মলী আক্তার। এক পর্যায়ে সুমনের পূর্বে দেওয়া শর্তমতে বিয়ের প্রস্তাব দিতে থাকলে সুমন নানা কৌশলে তা এড়িয়ে যায়। মলী আক্তার নিজে প্রতারিত হচ্ছে মনে করে আরো বেশি বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে সুমনকে। এমতাস্থায় সুমন মলী আক্তারকে বলে, আমি তোমাকে বিয়ে করবো কিন্তু নিজেকে গুছানোর জন্য আমাকে ছয় (৬) মাস সময় দিতে হবে। অতঃপর সতীত্ব বিলিয়ে দেয়া ভারাক্রান্ত হতাশগ্রস্ত মলী আক্তারের অন্তর্ধ্যণী ক্রন্দন বুকে চেপে রেখে গুনতে থাকে ছয় (৬) মাস অতিবাহিত হওয়ার সন্ধিক্ষণ তথা দিবা রাত্রী। ছয় (৬) মাস শেষ হওয়ার পর পুনরায় সুমনকে বিয়ের কথা বলে মলী আক্তার। সুমন মলী আক্তারকে বলে, বিয়ে তোমাকে করতে পারি কিন্তু আমাকে দশ (১০) লক্ষ টাকা দিতে হবে। না দিতে পারলে এখন থেকে তোমার আমার সম্পর্ক শেষ আর বলে দেয় যে আমার সাথে কখোনো যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেনা। তারপর থেকে সুমনের সাথে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় মলী আক্তার।
জানা যায়, গত বুুুধবার মলী আক্তার কোন প্রকার উপায় না পেয়ে সুমনের বাড়িতে গিয়ে উঠে। বাড়িতে উপস্থিত থাকা সুমন মলী আক্তারকে দেখতে পেয়ে বাড়ি থেকে অন্যত্রে পালিয়ে যায়। সুুমনের অনুপস্থিতিতে হতভম্ব মলী আক্তার সুমনের পরিবারকে বিষয়গুলো খুলে বলে, অতঃপর সুমনের পরিবারের লোকজন মলীর কথাগুলো সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করার পর মলী আক্তারকে চড়থাপ্পড় সমেত চুলধরে সারা বাড়ির উঠনে ছেচড়িয়ে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখে। রাত হলে ঘরের তালা খুলে সারারাত ধরে মলী আক্তারের উপর চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ভোর হলে তাকে হাসা মাজালিয়া নামে একটি স্থানে অটো বাইক কর্তৃক ফেলে দিয়ে আসে। এদিকে খুঁজতে থাকা তার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে মলীকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করেন। মলী আক্তারকে কোন প্রকার শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করেছে কিনা এ বিষয়ে সুমনের চাচাতো ভাই মীমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মলীর সাথে সুমনের পরিবার হয়তোবা খারাপ ব্যবহার করেছে কিন্ত আমি ওখানে উপস্থিত হওয়ার পর কোন প্রকার খারাপ ব্যবহার করতে দেইনি। ওরা মেয়েটিকে সারাদিন না খাইয়ে রেখেছিলো। কিন্তু আমি খাবারের ব্যবস্থা করে আমার সম্মুখে বসিয়ে খাবার খাওয়ায়ছি। আইনানুগ কোন ব্যবস্থা নিবে কিনা? এবিষয়ে জানতে চাইলে মলী আক্তারের মা সুুুফিয়া বেগম বলেন, মামলা করার ইচ্ছা থাকলেও সুুুমনের পরিবারের হুমকির মুখে চরম ভয়ভীতির মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial