ডেস্ক রিপোর্ট: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতার ঠিক আগ মুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন বুঝতে পেরেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে, তখন জাতিকে পঙ্গু করার হীন উদ্দেশে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ইতিহাসের পাতায় এই দিনটি কালো দিন হিসেবেই থাকবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও সেদিন যারা বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা এঁকেছিলেন, সেই জামায়াতে ইসলামী ও তাদের দোসর-অনুসারীরা এখনও সক্রিয় উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, সেদিন যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের, ইসলামবিরোধী বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন, তারাই আজকে ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। জাতির স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধীদের এ ধরনের আস্ফালন মেনে নেওয়া যায় না। তাই এদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। এজন্য আমি মহান স্রষ্টার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। কিন্তু উনি হাসপাতাল থেকে ফিরে এসেই দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে যেভাবে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, এতে মনে হচ্ছে আসলে উনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি। উনার আরও একটু চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
এরপর রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ‘এখনও দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের আস্ফালন কেন’- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা বেশ কয়েকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে সহযোগিতা করছে। দলগতভাবে স্বাধীনতাবিরোধী, বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়নকারী, আলবদর বাহিনী গঠনকারী, নারী নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত জামায়াতে ইসলামিকে জোটসঙ্গী করে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কারণেই এখনও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি অপচেষ্টা চালায়। এদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখতে হবে।