ক্রীড়া প্রতিবেদক : মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেটি আরও একবার প্রমাণ করলেন আকরাম খান, হাবিবুল বাসার আর হান্নান সরকাররা। ফিটনেস নেই, অনুশীলন নেই তাতে কী হয়েছে। কয়েক বছর আগে যে কৌশল রপ্ত করেছিলেন সেটি দিয়েই মাত করলেন খালেদ মাহমুদ আর মিনহাজুল আবেদিনরা।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল প্রর্দশনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ। যাতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ লাল দল ও বাংলাদেশ সবুজ দল। লাল দলের হয়ে খেলেছেন আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন, খালেদ মাহমুদ, হাবিবুল বাসার, হান্নান সরকাররা আর তালহা জুবায়ের মতো সাবেক খেলোয়াড়রা। অপরদিকে সবুজ দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন আতাহার আলী খান, ফারুক আহমেদ, মেহরাব হোসেন, শরিফউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম আর জাহাঙ্গীর আলমরা। এদিন মাঠের প্রতিদ্বন্দিতার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছিল সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। অবশ্য প্রবীনদের সেই মিলনমেলায় সামিল হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তাজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীমের মতো বর্তমানের তারকারা। সঙ্গে সাবেক ক্রিকেটারদের স্ত্রী সন্তানেরা তো ছিলেনই। সব মিলিয়ে দারুন জমেছিল নতুন পুরোনোদের এই পুনর্মিলনী। ম্যাচে বাংলাদেশ লাল দল ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ সবুজ দলকে। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করে বাংলাদেশ সবুজ দল। ২৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন রফিকুল ইসলাম খান। এছাড়া হারুনুর রশীদ ১৬ বলে ২৭, হাসানুজ্জামান ১০ বলে ২২ ও জাহাঙ্গীর আলম ১৬ বলে ২৭ রান করেন। লাল দলের খালেদ মাহমুদ সুজন ৪১ রানে ৩টি ও জাকির হোসেন ২২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১ বল বাকী রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ লাল দল। মাত্র ২৪ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন হান্নান সরকার। এছাড়া মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ২৩ বলে ৩১, আকরাম খান ২০ বলে ২১ ও খালেদ মাহমুদ সুজন ১৮ বলে ২৩ রান করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সবুজ দল: ২০ ওভারে ১৬৬/৭ (রফিকুল ইসলাম ৩৪, হারুনুর রশীদ ২৭*, জাহাঙ্গীর আলম ২৭; জাকির হাসান ৩/২২, খালেদ মাহমুদ ৩/৪১, তালহা জুবায়ের ১/১৬)।
লাল দল: ১৮.১ ওভারে ১৬৭/৪ (হান্নান সরকার ৬৭*, মিনহাজুল আবেদীন ৩১, খালেদ মাহমুদ ২৮*; শরিফউদ্দিন আহমেদ ২/১৮, মিজানুর রহমান ১/৮, সাইফউল্লাহ ১/৩৩)।
ফলাফল: বাংলাদেশ লাল দল জয়ী ৬ উইকেটে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন হান্নান সরকার।