ডেস্ক রিপোর্ট: মুজিব বর্ষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পদ্মাসেতু উদ্বোধনের কোনও সুনির্দিষ্ট সময় বলা যাবে না। পদ্মা সেতুর পুরো প্রক্রিয়াটাই হাইলি টেকনিক্যাল বিষয়। সেতুর নিচের অংশে ট্রেন, ওপরে অংশে গাড়ি চলবে। এটার টেকনোলজিটাই ভিন্ন।’
এছাড়া নদীর চরিত্রও একটা বড় ব্যাপার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পদ্মা সবচেয়ে খরস্রোতা নদী। একটা বর্ষার পরেই নদীর চরিত্র বদলায়। পলি পড়ে। গতিপথ পরিবর্তন হয়। এসব কারণে অনেক দিন কাজ বন্ধও রাখতে হয়েছিল। তাই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করার বিষয়টি অনেক কিছুর ওপরও নির্ভর করে।’
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামালের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজিব বর্ষের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব কিনা এমন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চিঠিও দিয়েছিলাম এ ব্যাপারে। নূর আছে কানাডায়, তার ব্যাপারেও কানাডা সরকারের সঙ্গে কথা চলছে। ট্রুডোর (কানাডার প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গেও কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন- ব্যক্তিগতভাবে তিনিও এরকম নৃশংস ঘটনার বিচার চান। কিন্তু তাদের দেশের আদালতের কিছু নিয়মের কারণে প্রতিবন্ধকতা আছে। বিশ্বের অনেক দেশই এখন মৃত্যুদণ্ড রহিত করেছে। যেহেতু তারা (খুনিরা) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, তাই সেই ছুতোয় তারা দেশে না ফেরার কৌশল অবলম্বন করছে।’
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুজনকে আমরা আনতে পেরেছিলাম। হুদাকে আনতে পেরেছি থাইল্যান্ড থেকে। মহিউদ্দিনকে আনতে পেরেছি। যে বিচার করার প্রক্রিয়াই ছিল না, নিষিদ্ধ ছিল, সেই বিচার করতে পেরেছি। আমার জন্য কেউ সুন্দর রাস্তা বানিয়ে দেয়নি। রাস্তা তৈরি করতে হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীর বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান এসে তা থামিয়ে দিলো, যারা জেলে ছিল তাদের ছেড়ে দিলো, তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিলো। নতুন প্রজন্মকে এসব বিষয়ে অবহিত করতে হবে।’