আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ছয় হাজার চাকরি প্রার্থীর মিলন মেলার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে কাজী আইটি ক্যারিয়ার বুটক্যাম্প। এই আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, অ্যামপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্প। দিনব্যাপী ক্যারিয়ার বুটক্যাম্পে দুই ভাগে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছয় হাজার চাকরি প্রার্থীকে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ২০ জনের হাতে কাজী আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সনদ তুলে দেয়া হয়। শনিবার বিকালে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এ সনদ তুলে দেন।
সারাদেশ থেকে ১৫ হাজার প্রতিযোগী এই আয়োজনের অংশ নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন। কয়েক ধাপে বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ছয় হাজার চাকরি প্রার্থীকে কাজী আইটি ক্যারিয়ার কুটক্যাম্পে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যারা বাদ পড়েছেন তাদের জন্য অনুষ্ঠানটি লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে কাজী আইটি। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শুধু এই অনুষ্ঠানের জন্য আমি নাটোর থেকে এখানে এসেছি। আমি অবাক হয়ে গিয়েছি এত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা হয়েছে দেখে। যারা চাকরি প্রার্থী তাদের কোনো টাকা দিতে হয়নি। আবার তাদের জন্য রাখা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা।তিনি বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আইটি-আইটিইএস খাতে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা এবং ২০ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবি তৈরির যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা ঠিক করেছি, আমি আশা করি এই ক্যারিয়ার বুট ক্যাম্প সেই লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা ‘মিশন ওয়ান বিলিয়ন ডলার’ লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি। তরুণরাই এ লক্ষ্য পূরণের মূল সেনানী হবে। কাজী আইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইক কাজী বলেন, ‘যারা চাকরি উৎসবে অংশ নিয়েছেন লাইভে অথবা এখানে এসে তারা অনুষ্ঠান থেকে কী শিখলেন এর ওপর একটি প্রেজেন্টেশন বানিয়ে কাজী আইটিতে পাঠাবেন। এর জন্য সময় ৩০ দিন। তবে যারা আগে পাঠাবেন তাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। কাজী আইটি ক্যারিয়া বুট ক্যাম্পে ফিউচার লিডারের লিড কনসালটেন্ট ও সিইও কাজী এম আহমেদ, মোটিভেশনাল স্পিকার জি. সামাদনি ডন, রবি টেনমিনিট স্কুলের উদ্যোক্তা আয়মান সদিক, হিউম্যান ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ জিশু তরফদার, বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন ফর লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা রুশদিনা খানসহ কাজী আইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মাইক কাজী এবং কাজী আইটির চিফ অপারেটিং অফিসার জন রিডেল রিসোর্স পার্সন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন। দুইটি সেশনে বক্তারা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের ওপর মনোযোগ দিতে হবে তা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন।
আলোচনা ছাড়াও চাকরিপ্রার্থীদের জড়তা কাটানোর জন্য ছিল নাচ-গানসহ নানা বিনোদনের ব্যবস্থা। অনুষ্ঠান শেষে ট্রেইনাদের সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।