শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গুজরাটে মোদির অগ্নিপরীক্ষা

editor
ডিসেম্বর ৭, ২০১৭ ১:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের রাজনীতিতে যাবতীয় মনোযোগ এখন গুজরাটের আসন্ন নির্বাচনে। যেখানে বিজেপির একটানা প্রায় তেইশ বছরের শাসন অক্ষুণ্ণ রাখতে অক্লান্ত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য দিকে গুজরাট দখলে আনার মরিয়া চেষ্টায় রীতিমতো ওই রাজ্যের মাটি কামড়ে পড়ে আছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। খবর বিবিসি।
গুজরাটে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন কিংবা নোট বাতিল-জিএসটির মতো বিতর্কিত অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যে তীব্র ক্ষোভ আছে কোনও সন্দেহ নেই কিন্তু সেটা কি ভারতে বিজেপির সবচেয়ে বড় দুর্গে ফাটল ধরানোর জন্য যথেষ্ট কিনা তা নিয়েও চলছে ব্যাপক বিশ্লেষণ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও গুজরাট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হিতেশ প্যাটেল বলেন, শাসক দল বিজেপির জন্য সারা দেশে তাদের যাবতীয় আদর্শগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ল্যাবরেটরি হল গুজরাট।
জাতীয় স্তরে গুজরাটের গৌরব নিয়েও এ রাজ্যের মানুষ খুব ভাবে। ফলে ২০১৭ সালের নির্বাচনেও বিজেপির গুজরাটে ক্ষমতায় আসা নিয়ে সংশয়ের কোনও কারণ থাকার কথা ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি ঘটনা বা দুর্ঘটনা সেই সহজ সমীকরণকেই বেশ জটিল করে তুলেছে।
এ রাজ্যের পথে প্রান্তে কান পাতলেই এখন শোনা যায় বিজেপির সরকার ধনীদের জন্য, গরিবের জীবন যেন এখানে আটার চাকিতে পিষে ফেলা হচ্ছে। রাজ্যের বস্ত্রশিল্পে কাজ করেন কয়েক লাখ শ্রমিক। গত সাত মাসে নোট বাতিল আর জিএসটি কর চালুর ধাক্কায় তাদের রুটিরুজি বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
আহমেদাবাদ শহরে নেহরুনগর মার্কেট রাতারাতি বন্ধ হয়ে গেছে, পথে বসেছেন দুই শতাধিক শ্রমিক পরিবার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজ্যে তিন তরুণ তুর্কির সামাজিক আন্দোলন।
অল্পেশ ঠাকোর, হার্দিক প্যাটেল ও জিগনেশ মেহভানি নামে গুজরাটের তিন তরুণ নেতা যথাক্রমে নেতৃত্বে দিচ্ছেন ওবিসি, পাতিদার ও দলিত শ্রেণীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। আর ভোটের মুখে তারা তিনজনেই হাত মিলিয়েছেন বিরোধী কংগ্রেসের সঙ্গে।
এবার গুজরাটের মসনদ থেকে সরানো একেবারে অসম্ভব নয়, সেটা টের পেয়েই গত তিন মাস ধরে এ রাজ্যে লাগাতার প্রচারণা চালাচ্ছেন ভাবী কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী আর তিনি সরাসরি আক্রমণের নিশানা করেছেন গুজরাটে বিজেপির তথাকথিত উন্নয়নের মডেলকে।
বিজেপি নেতারাও তাই সাবধানী আত্মবিশ্বাসের সুরে বলছেন, ১৮ ডিসেম্বরে ভোট গণনার পর মিলিয়ে নেবেন, সবরমতী আশ্রমে যেমন গান্ধী থাকবেন, গান্ধীনগরের সচিবালয়েও তেমনি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীই থাকবেন।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial