আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০১৮ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচন অনুষ্ঠান ও জাতীয় সংহতির বিষয়ে কায়রোয় দু দিনব্যাপী বৈঠকের পর বুধবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে একটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি, মিশরের রাজধানী কায়রোয় ফিলিস্তিনির প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ আন্দোলনের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। তার আওতায় ফিলিস্তিনে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ফিলিস্তিনে ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন হয়েছিল এবং সে নির্বাচনে হামাস বিপুল বিজয় অর্জন করেছিল। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার চাপে কিছুদিনের মধ্যে সে সরকার ভেঙে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
বুধবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে- প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ফিলিস্তিনের নির্বাচন কমিশন অনুরোধ জনিয়েছে। এছাড়া, সব পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাচনের একটি তারিখ ঘোষণার জন্য প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ১২ অক্টোবর কায়রোয় হামাস ও ফাতাহ আন্দোলনের মধ্যে জাতীয় সংহতির বিষয়ে সই হওয়া চুক্তির বাস্তায়ন প্রক্রিয়া সরেজমিনে দেখার জন্য মিশরের একটি গোয়েন্দা দল শিগগিরি গাজা উপত্যকা ঘুরে দেখবে। মিশরের মধ্যস্থতায় সই হওয়া ১২ অক্টোবরের চুক্তিতে গাজার বেসামরিক প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে ছাড়তে রাজি হয়েছে।
১ ডিসেম্বরের মধ্যে গাজার বেসামরিক প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ পূর্ণভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ছেড়ে দেয়ার কথা। তবে সামরিক শাখার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতেই থাকবে। চুক্তি অনুসারে মিশর সীমান্তে রাফাহ ক্রসিং পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণও ছেড়ে দিয়েছে হামাস।