News update
  • গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর আরও জোর দেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান     |     
  • আহ্বায়ক টিএইচএম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন     |     
  • মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গর্ভনরেরা     |     
  • শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি' আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ      |     
  • দেশে বছর দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছে- ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতামত      |     
বিশেষ প্রতিনিধি : নগর-মহানগর 2025-04-17, 10:15pm

সার্বজনীন পেনশন স্কিমকে পাঠ্য তালিকায় যুক্ত করার মাধ্যমে জনসচেনতায় ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে

বিলস আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা

dbd59aa8-4a83-48aa-a06b-d348df27498a-ed5edaaa151de45528d6bf29063cf02d1744906548.jpeg


শ্রমজীবী মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সরকারের সার্বজনীন পেনশন স্কিমকে পাঠ্য তালিকায় যুক্ত করে এর ভবিষ্যত সুফলতা সম্পর্কে জনসচেনতায় এবং বাস্তবায়নে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে নারী ও সমাজকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ সৃৃষ্টি করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে সামাজিক সংলাপের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এক জাতীয় সেমিনারে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব লেবার স্টাডিজ- বিলস আয়োজিত সেমিনারে এক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটির প্রভাষক ও গবেষক মোঃ হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল কম আয়ের নারী কর্মীদের সার্বজনীন পেনশন প্রকল্পে অংশগ্রহণ এবং তা থেকে সুবিধা নেয়ার ক্ষেত্রে যেসকল চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা এবং সঠিক গবেষণালব্দ প্রমাণ তৈরি করা। কম আয়ের গৃহকর্মী, আরএমজি এবং বিক্রয়কর্মী নারীরা কিভাবে এই পেনশন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারে তা নিসন্দেহ অধিক গবেষণার দাবি রাখে।

“সার্বজনীন পেনশন প্রকল্পে নারী কর্মীদের অংশগ্রহণের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগসমূহ অধ্যায়ন” শীর্ষক গবেষণায় হাবিবুর রহমান আরো বলেন, ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে শতকরা ৯৭% সক্রিয় নারী শ্রমশক্তি অনানুষ্ঠানিকভাবে কর্মে নিয়োজিত। তারা মৌলিক সামাজিক ও আইনি সুরক্ষা এবং চাকরির সুযোগ-সুবিধা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। দ্বিতীয়ত, নারী শ্রমশক্তির বেশিরভাগই অনিশ্চিত এবং নিম্নমানের চাকরিতে নিয়োজিত। বিশেষ করে, গৃহকর্মী এবং বিক্রয়কর্মীরে মতো অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের পরিস্থিতি বেশ নাজুক। নারী শ্রমশক্তির যে মাত্র ৩ শতাংশ আনুষ্ঠানিকখাতে নিয়োজিত, তাদের অনেকেরই আয় খুবই কম যেমন তৈরি পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক এবং কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক। সামান্য বেতনে আনুষ্ঠানিকখাতে নিয়োজিত এসকল নারীরা তাদের জীবনযাত্রার মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে যারপর নাই ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যান্য কিছু দেশের মতো, বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য কোন সরকারি রিডানডেন্সি বেতন বা দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের গ্যারান্টি নেই। হঠাৎ কোন আর্থীক বিপর্যয় হলে ভাগ্যের উপর নির্ভর করা ছাড়া এসকল নি¤œ আয়ের নারী শ্রমিকদের আর কোন গত্যান্তর নেই। যদিও বাংলাদেশ শ্রম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মতো কিছু জাতীয় তফসিলি কাঠামো রয়েছে, তবে সেগুলো থেকে সহায়তা পাওয়া সাধারন নারী শ্রমিকদের জন্য খুবই কঠিন।

২০২৩ সালে বাংলােেশ চালু হওয়া সার্বজনীন পেনশন প্রকল্পটি কম আয়ের নারীদের সামাজিক সুরক্ষার জন্য একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। এটি একটি সার্বজনীন উ্েযাগ। ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং ৬০ বছর হবার পর আজীবন পেনশন সুবিধা পাবে। প্রাথমিকভাবে, চারটি পেনশন প্রকল্প চালু করা হয় যথা প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা এবং প্রবাস। পরবর্তীতে আরও ুটি পেনশন প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে, এই প্রকল্পগুলিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কম আয়ের নারীরে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল এগুলি কন্ট্রিবিউটরি প্রকল্প। বেশীরভাগ কম আয়ের নারীদের চাকরির কোন নিরাপত্তা নেই, তারা মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হিমসিম খাচ্ছে এবং তাদের বেশিরভাগেরই বাস দারিদ্র্যসীমার নীচে। তাদের পক্ষে নন-স্টপ দশ বছর থেকে বিয়াল্লিশ বছর পর্যন্ত পেনশন প্রকল্পে কনিট্রবিউট করা এবং এর সুবিধা গ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া, কম আয়ের নারী কর্মীদের অনেকেরই সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প সম্পর্কে জানা ও বোঝা খুবই সীমিত।