আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটিশ উপ প্রধানমন্ত্রী ডামিয়ান গ্রিনের কমপিউটারে ভয়াবহ পর্নো ছবি পেয়েছে পুলিশ। এক্স-রেটেড বা রগরগে পর্নো ছবির এ ভান্ডার পেয়ে তো পুলিশের চোখ আকাশে উঠেছে। বিটেনের পুলিশ বলছে, তারা ডামিয়েন গ্রিনের পার্লামেন্টারি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে এসব ডকুমেন্ট পায়।
ওদিকে পুলিশের যে কর্মকর্তা এ তথ্য উদঘাটন করেছেন তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছে। তবে ঘটনাটি ২০০৮ সালের। বিষয়টি এতদিন আলোর মুখ দেখেনি।
সম্প্রতি যখন যৌন কেলেঙ্কারিতে ওয়েস্টমিনস্টার থরথর করে কাঁপছে তখন এ তথ্য ব্রিটিশ নাগরিকের ভিতরে হতাশার সৃষ্টি করেছে। কয়েকজন মন্ত্রী সহ কমপক্ষে ৩৬ জন এমপির বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে গত কয়েকদিন তোলপাড় চলছে ব্রিটেনে। একের পর বেরিয়ে আসছে সব।
ডামিয়েন গ্রিন উপপ্রধানমন্ত্রী হলেও তিনি ব্রিটেনের ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। এতে বলা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত উপ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ বেরিয়ে পড়লো। তার কমপিউটারে পাওয়া গেছে ‘একট্রিম’ বা অত্যন্ত ভয়াবহ সব পর্নোগ্রাফি। এ বিষয়টি আবিষ্কার করেছেন লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক সহকারী কমিশনার বব কুইক। তিনি বলেছেন, তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর এই পর্নো কেলেঙ্কারি পার্লামেন্টে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করার আগেই তাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। ফলে তিনি ওই রিপোর্ট দেয়ার সুযোগ পান নি। ২০০৯ সালে তাকে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে সন্ত্রাস বিরোধী কিছু স্পর্শকাতর ডকুমেন্ট সহ বেরিয়ে আসার সময় ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। এরপর তিনি পদত্যাগ করেন।
২০০৮ সালে তিনি ওই তল্লাশি চালিয়েছিলেন। তা নিয়ে তিনি একটি খসড়া বিবৃতি তৈরি করেন। তা এখনও বিদ্যমান আছে। এত আগে এ ঘটনা ঘটে গেলেও ২০১১ ও ২০১২ সালের শুনানিতে এ অভিযোগ পড়ে শোনানো হয় নি। ফলে খবরটি পুরনো হলেও তা এখন নতুন করে আলোর মুখ দেখছে। ফলে ডামিয়েন গ্রিনকে এরই মধ্যে কেবিনেট অফিসের তদন্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সোমবার তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির যে অভিযোগ আছে সে বিষয়ে সোমবার শুনানি হবে। তাতে তথ্যপ্রমাণ হাজির করবেন বব কুইক। ওদিকে কনজার্ভেটিভ পার্টির একজন কর্মী অভিযোগ করেছেন, ডামিয়েন গ্রিন তার উরু স্পর্শ করেছিলেন। ওই নারী কর্মীর নাম কেট মাল্টবি। তিনি অভিযোগ করেছেন, ডামিয়েন গ্রিন তাকে টেক্সট ম্যাসেজও পাঠিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, একবার একটি বারে আমরা কথা বলছিলাম। তখন তিনি আমার উরুতে নিজের হাত রাখেন। তবে এসব অভিযোগ জোর দিয়ে অস্বীকার করেছেন ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট। তিনি এ বিষয়ে কেবিনেট অফিসে বেশ কিছু টেক্সট ম্যাসেজ জমা দেবেন। তাতে দেখানো হবে যে তিনি কোনো অনন্যায় করেন নি। ডামিয়েন গ্রিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। অবিশ্বাস্য একটি সূত্র থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।