ঢাকাসোমবার , ৭ অক্টোবর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইমরান খানের ওপর ক্ষেপেছেন সৌদি যুবরাজ

editor
অক্টোবর ৭, ২০১৯ ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেয়া বিশেষ বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে যাওয়ার পর সৌদি যুবরাজকে এড়িয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে একটি ইসলামিক ব্লক গঠনের চিন্তা থেকে আলাদা বৈঠক করেন।
ইমরান খানের এই বৈঠক সহজভাবে নিতে না পেরে ইসলামাবাদে ফেরার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া নিজের বিশেষ বিমান মাঝপথ থেকে নিউইয়র্কে ফিরে আসার নির্দেশ দেন যুবরাজ বিন সালমান। সেই সময় পাক প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে বলে জানানো হলেও যুবরাজ ক্ষেপে গিয়ে বিশেষ বিমান ফেরত নেন বলে পাকিস্তানি ম্যাগাজিন ফ্রাইডে টাইমস এক প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে অংশ নেয়ার আগে সৌদি আরব সফরে যান ইমরান খান। জেদ্দা থেকে ইমরান খান বাণিজ্যিক বিমানে যুক্তরাষ্ট্র যেতে চাইলে তাতে আপত্তি জানিয়ে নিজের ব্যক্তিগত বিমান করে যাওয়ার প্রস্তাব দেন সৌদি যুবরাজ। ওই সময় পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একজন অতিথিকে বাণিজ্যিক বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে দিতে চাননি যুবরাজ।
জাতিসংঘের অধিবেশন শেষে ২৮ সেপ্টেম্বর ইমরান খান যখন নিউইয়র্ক থেকে ইসলামাবাদে ফিরছিলেন সেই সময় যান্ত্রিক ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী সৌদি যুবরাজের দেয়া ব্যক্তিগত বিমান মাঝপথ থেকে নিউইয়র্কে ফিরে যায়। পরে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ইসলামাবাদে ফিরে আসেন ইমরান খান।
কিন্তু পাকিস্তানের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ফ্রাইডে টাইমস ৪ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, নিউইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের কিছু কূটনৈতিক তৎপরতায় বিচ্ছিন্ন ছিলেন সৌদি যুবরাজ। সেখানে তিনি ইমরান খানের কিছু কর্মকাণ্ডে খুশি হতে পারেননি।
যুবরাজের সম্মতি ছাড়াই ইমরান খান সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে বিশ্বের নিপীড়িত মুসলিমদের জন্য নেতৃত্বশীল একটি ব্লক তৈরির ব্যাপারে তিন দেশের এই তিন রাষ্ট্রনেতা আলোচনা করেন। নিউইয়র্কে সৌদি যুবরাজ উপস্থিত থাকলেও ইমরান খান তাকে এ ব্যাপারে কোনো কিছুই জানাননি। এমনকি ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
ফ্রাইডে টাইমস বলছে, কার্যত এসব কারণে ক্ষেপে গিয়ে নিজের বিশেষ বিমান থেকে ইমরান খান-সহ পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলকে নেমে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ।
ইমরান, মাহাথির ও এরদোয়ানের ওই বৈঠকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির আদলে একটি ইংরেজি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল চালুর সিদ্ধান্ত নেন। এই চ্যানেলের উদ্দেশ্য হবে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন সঙ্কট ও তার সমাধানের উপায় এবং ইসলামোফোবিয়ার (ইসলামভীতি) বিরুদ্ধে লড়াই করা।
নিউইয়র্কে থাকতেই ইমরান খান ঘোষণা দেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কমিয়ে আনতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছেন। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুরোধে তিনি এ কাজ করছেন বলে জানান।
তবে ফ্রাইডে টাইমসের এই প্রতিবেদনকে বানোয়াট বলে দাবি করেছেন পাকিস্তান সরকারের এক মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, এটি একটি বানানো গল্প। পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্র নেতাদের মাঝে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ইমরান খানের বৈঠকের গল্প পুরো কাল্পনিক। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। আমরা এটি প্রত্যাখ্যান করছি। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial