ক্রীড়া প্রতিবেদক : এক্স পাইলোটিশিয়ান ফুটবল টুনামেন্ট-২০১৮ এর সেরা সাফল্য দেখিয়ে ১ম বারের মত চ্যাম্পিয়ণ হওয়ার গৌরভ অর্জন করে ২০১৪ ব্যাচ। গ্রুপ পর্বে দাপটের সাথে খেলে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ণ দল তারুণ্যের অহংকার ১৪ ব্যাচ। সেমি ফাইনালে হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে ২০১১ ব্যাচকে পরাজিত করে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে অধিনায়ক মনিরের ১৪ ব্যাচ (দল)।
উওেজিত প্রবণ পুরো মাঠ জুড়ে শুধু হাহাকার, কে? হবে এবারের চ্যাম্পিয়ণ দল। অবশেষে সব পরিকল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৫ ব্যাচকে পরাজিত করে শিরপা দখল করতে ভূল করল না এক্স পাইলোটিশিয়ানদের প্রিয় দল ২০১৪ ব্যাচ।
কুমিল্লা জেলার, লাকসাম উপজেলার বেশ সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান লাকসাম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় পড়া লেখায় যেমনি সবার চোখে পড়ার মত। ঠিক এক্স পাইলোটিশিয়ানদের প্রত্যেকটা কর্মকান্ড যেন দেশ ও জাতির জন্য মহাসাফল্য বয়ে আনে।
এক্স পাইলোটিশিয়ান ফুটবল টুনামেন্ট -২০১৮ ( সিজন ৫) এর আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০১১ ব্যাচ। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিত্য নতুন চিন্তা ভাবনার মহাজাল তৈরি করে চমক দেখিয়েছেন। তাদের আয়োজনটা ছিল সূদরপ্রসারি।
২০০২ থেকে শুরু করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যারা লাকসাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বের হয়েছে তাদের নিয়ে এই আয়োজন। টুনামেন্টে ১৫ টি দলের (ব্যাচ ভিওিক) অংশ গ্রহণে টানা ৪ দিন স্বপ্নের স্কুলের মাঠে ছিল খেলোয়াড় ও এক্স পাইলোটিশিয়ানদের উপছে পড়া ভিড়। উক্ত টুনামেন্ট আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বড় ভাইদের সাথে ছোট ভাইদের মধুর সম্পর্ক পরিগণিত হয়েছে। তাছাড়া ঈদ পূর্ণমিলনী ও মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে পুরো টুনামেন্ট।
ফাইনাল ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লাকসাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহবুব স্যার উপস্থিত থেকে চ্যাম্পিয়ণ ও রানারআপ দলের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন। এবং এক্স পাইলোটিশিয়ানদের জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
ফটোশুট এবং আগামীতে (২০১৯ সাল) আয়োজক দল হিসেবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ণ ২০১৪ ব্যাচকে ঘোষনা দিয়ে উক্ত টুনামেন্টের সমাপ্তি ঘটে।