আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরাতেগ্রামীণফোনের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।গ্রামীণফোন বোর্ডের চেয়ারম্যান পেটার বি ফারবার্গ এবং সিইও মাইকেল ফোলি ,অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সেক্রেটারি এস এম ইমদাদুল হক।
চেয়ারম্যান তার ভাষণে কোম্পানির উপর আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের
ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পের সম্ভাবনা, নিয়ন্ত্রণগত অনিশ্চয়তা, ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী হিসেবে পরিণত হওয়ার গ্রামীণফোনের লক্ষ্য ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সিইও কোম্পানির পরিচালনাগত ও আর্থিক সাফল্যের কথা এবং সফলভাবে ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক বিস্তারের কথা উল্লেখ করেন। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে আমরা এমন একটি বিশ্বে বসবাস করছি যেখাানে নিত্য নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটছে এবং ডিজিটালকরণের প্রসার ও পরিধি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র পরিবর্তন নিয়ে আসছে। তাই এ বছরেও গ্রামীণফোন ডিজিটাল লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার দিকে এর যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। ফোরজি সূচনার মাধ্যমে, আমাদের গ্রাহকরা ডিজিটাল বিশ্বের এক নতুন রূপ ও অবারিত সুযোগ উপভোগ করতে পারবেন। গ্রামীণফোন ২০১৭ সালে ১০৫ শতাংশ নগদ অন্তবর্তী লভ্যাংশ প্রদান করে। গ্রামীণফোনের বোর্ড আরো ১০০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেন ফলে মোট লভ্যাংশের পরিমান দাড়ায় পরিশোধিত মূলধনের ২০৫ শতাংশ (শেয়ার প্রতি ২০.৫ টাকা)। শেয়ারহোল্ডারগণ ২০১৭ সালের জন্য সুপাশিরকৃত লভ্যাংশ অনুমোদন
করেন। পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতো এবছরও গ্রামীণফোন দ্রুততার সাথে অনলাইনে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করবে। এজিএম এর অন্যান্য কর্মকান্ডের মধ্যে ছিল ডিরেক্টরস রিপোর্ট ও ২০১৭ এর নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন গ্রহণ, ডিরেক্টর নির্বাচন/পুনঃনির্বাচন এবং অডিটর
নিয়োগ। গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হবার পর এটি ছিল ৯ম এজিএম।পরে একই স্থানে কোম্পানির ২১তম বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। ইজিএম এ শেয়ারহোল্ডারগণ কোম্পানির সংঘ স্মারকের লক্ষ্য সমূহে এ আনীত পরিমার্জন গুলো অনুমোদন করেন।