ক্রীড়া প্রতিবেদক :‘তীর গো ফর গোল্ড’ প্রকল্পে তিরন্দাজদের সহযাত্রী হয়েছে সিটি গ্রুপ। নতুন তিরন্দাজ খুঁজে বের করার কার্যক্রমকে নিয়ে প্রতিভার খোঁজে দেশের বেশিরভাগ জেলায় অন্বেষন করা হয়। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচীর অধীনে ১০জন আরচ্যারকে মনোনীত করেছে বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন। এদের মধ্যে ৯জন বালক ও ১জন বালিকা।
সিটি গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় গত ২৩ এপ্রিল থেকে প্রথমবারের মত এই প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচী দেশের ১২টি জেলায় শুরু হয়। সর্বমোট ২৫৫৫ জন আরচ্যারীর মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে বাছাই করে চূড়ান্ত পর্যায়ে ১২টি জেলা থেকে ২ জন করে (১ জন বালক ও ১ জন বালিকা) নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের ২৪ জন বালক ও বালিকাকে টঙ্গিস্থ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের আরচ্যারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৩টি পর্বে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মোট ৪২দিনের দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে শেষ পর্যন্ত ১০জনকে চূড়ান্ত করে আরচ্যারী ফেডারেশন। যাদের মধ্য থেকেই মূলত ভবিষ্যতে জাতীয় দল বেছে নেয়া হবে বলে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচীর সমাপনী অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের ডাচ-বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আরচ্যারদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
চূড়ান্তভাবে মনোনীত ১০জন আর্চারিকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে। মনোনীতরা হলেন : অম্র শিং মারমা (বান্দরবান), দীপন মুরুং (বান্দরবান), মো: আবু সুফিয়ান প্রান্ত (দিনাজপুর), মো: ইমরান হোসেন (ঢাকা), মো: জান্নাতুল ইসলাম খান (ফরিদপুর), মো: রাহাত শেখ (নড়াইল), মো: রিফাত উজ্জামান অভয় (রাজশাহী), সৌরভ রায় (নীলফামারী), উঅং শিং মারমা (চট্টগ্রাম), উ সাইং মে মারমা (বান্দরবান)।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক শোয়েব মো: আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের সভাপতি লে: জেনারেল মো: মইনুল ইসলাম (অব:), সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল, জাতীয় আরচ্যারী দলের কোচ মার্টিন ফ্রেডারিক, ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সিটি গ্রুপের কর্মকর্তা এবং আরচ্যারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ১২ জন বালক ও ৭ জন বালিকা আরচ্যারের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।