ক্রীড়া প্রতিবেদক : ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ৩০তম আসরের ফাইনাল হতে যাচ্ছে আগামীকাল (২৩ নভেম্বর) শুক্রবার। এদিন বিকাল সাড়ে ৪ টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী এবং নবাগত বসুন্ধরা কিংস। নতুন আর পুরাতন দুই দলের শিরোপা লড়াইটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইন। ফেডারেশন কাপে প্রথমবারের মতো খেলতে এসে ফাইনালে উঠে আগেই চমক সৃষ্টি করেছে বসুন্ধরা কিংস। গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে এখনো অপরাজিত থাকা দলটি ফেডকাপের শিরোপা জয় করে এএফসি কাপে খেলতে চায়। ঘরোয়া ফুটবলে সৃষ্টি করতে চায় ইতিহাস। ছাড় দিতে নারাজ আকাশী-নীল শিবিরও। নিজেদের মুকুট অক্ষুন্ন রাখতে জীবনবাজি রাখতে প্রস্তুত দলটির ফুটবলাররা। আজ বৃহস্পতিবার, দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আয়োজিত ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন দু’দলের ফুটবলাররা। শুরুতেই ঢাকা আবাহনীর কোচ জাকারিয়া বাবু বলেন, আবাহনী ক্লাবের মূল টার্গেটই থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কালকের (শুক্রবার) ফাইনালের জন্য আমরা প্রস্তুত। স্বাভাবিক নিয়মে আবাহনী আবাহনীর জায়গায় চলে এসেছে। আশা করি গত দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবারও শিরোপা জিততে পারব। দলের অধিনায়ক গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল কোচের সুরেই কথা বলেন, আমরা কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে ভালো খেলে ফাইনালে উঠেছি। বরাবরের মতো ফাইনালে ভালো খেলে শিরোপা জয় করতে চাই। আবাহনীর হয়ে এবারই আমার প্রথম ফাইনাল খেলা নয়। এর আগে আমি অনেকবার দলের হয়ে ফাইনালে খেলেছি। দলকে অনেক শিরোপা উপহার দিয়েছি।
শিরোপা জয় ছাড়া অন্য কণো ভাবনা নেই বসুন্ধরারও। নবাগত দলটি মৌসুমের প্রথম শিরোপা নিয়েই ফিরতে চায় ঘরে। দলের সহকারী কোচ আবু ফয়সাল আহমেদ জানান, আমরা ভালো খেলে ফাইনালে এসেছি। আগামীকাল ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে ফাইনালে ভালো খেলেই চ্যাম্পিয়ন হতে চাই আমরা। ফাইনালের আগে ইনজুরি কিংবা কার্ড সমস্যা নিয়ে আবাহনী শিবিরে কোনো দুঃশ্চিন্তা না থাকলে বসুন্ধরা কিংস ইনজুরি থেকে মুক্ত নয় বলে জানান এ কোচ, আঙুলের ইনজুরির কারণে ফাইনালে খেলতে পারছেন না দলের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মার্কোস। দলটির অধিনায়ক তৌহিদুল আলম সবুজ শিরোপা জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী, আমাদের লক্ষ্য হলো চ্যাম্পিয়ন হয়ে এএফসি কাপে খেলা। প্রতিপক্ষ আবাহনীও বেশ শক্তিশালী। তবে আমাদের ভাবনায় শুধুই জয়। দলটি নতুন হলেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই দল গঠন করেছে। দলের বিদেশি ফুটবলাররা বেশ শক্তিশালী। তাছাড়া অন্যান্য দলের চেয়ে আমাদের দলের স্থানীয় ফুটবলাররাও মানের দিক দিয়ে সেরা।
ফাইনালের আগে দুই দলের আত্মবিশ্বাস বেশ উর্ধ্বমূখী। ঘরোয়া ফুটবলের দুই সেরা দলের এ লড়াইটা যে বেশ জমজমাট হবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।