আজকের প্রভাত ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিএনপি এখন কী বলবে?
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা পালিয়ে গেছে, কেউ গাঢাকা দিয়েছে। এখন আপনাদের ক্ষমতায় আসার শক্তির উৎসটা কী? জনগণ ইতোমধ্যে আপনাদের কাছ থেকে সরে গেছে। জনগণও নেই, বিদেশি বন্ধুরাও বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে। যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বেশি ভরসা ছিল সেই যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। এখন ক্ষমতায় যেতে বিএনপি কোন আশায় বসে থাকবে?
মিয়ানমার সীমান্তের সংঘাতে বাংলাদেশের সীমান্তের দুই-তিনটি গ্রাম থেকে নাগরিকদের চলে আসা উদ্বেগের উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে গোলাগুলি, মর্টার সেল এখানে এসে পড়ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। মিয়ানমারের এ সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ। এর প্রভাবে সৃষ্ট আতঙ্ক যেন প্রতিবেশী দেশে না ছাড়ায় সে জন্য তাদের নিজেদেরই সমাধান করা উচিত। এছাড়া জাতিসংঘের মধ্যস্থতায়ও সমাধান করতে পারে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে নতুন করে রোহিঙ্গাদের আগমনে উদারতা দেখাবে না বাংলাদেশ। এমনিতেই এত বোঝা, আর নিতে পারবো না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতিবাচক কর্মকাÐ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের শক্ত অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, একটা দলের সবাই ভালো মানুষ এমন দাবি করতে পারি না। খারাপ কাজও করে কিছু মানুষ। আমরা খারাপ কাজটা প্রশ্রয় দেই না। আইনের আওতায় আনার মতো অপরাধ হলে অবশ্যই আনা উচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে অতীতেও কেউ অপরাধ করে পার পায়নি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।