ডেস্ক রিপোর্ট: শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোকে অগ্রাহ্য করার অংশ হিসেবেই মন্ত্রীদের নির্দেশে মালিক-শ্রমিকরা সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এ সময় তিনি দেশ পরিচালনায় লাইসেন্সহীন সরকারের পদত্যাগ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
রিজভী বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিক দাবিগুলোকে অগ্রাহ্য করার জন্যই মন্ত্রীদের নির্দেশে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন— নিরাপত্তার জন্য পরিবহন মালিকরা বাস রাস্তায় নামাচ্ছেন না। ‘অথচ গতকাল বৃহস্পতিবার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা গাড়ি চলতে বাধার সৃষ্টি করেনি, বরং তারা সুশৃঙ্খলভাবে গাড়ি চলতে সহায়তা করেছে। তারা গাড়ি ও চালকদের লাইসেন্স আছে কিনা, সেটি চেক করেছে। সেখানে মন্ত্রী-এমপি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারও গাড়ির কাগজপত্র নেই। এটি জাতির জন্য লজ্জার।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, শুধু পরিবহন সেক্টর নয়, দেশের সব সেক্টরে ভোটারবিহীন সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ফলে বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নাশকতার আশঙ্কা করে বক্তব্য দেয়ার পর পরই তাদের ওপর পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করেছে। এসব দেখে সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্যাবোটাজের বক্তব্য মূলত সরকারি নাশকতারই ইঙ্গিত।