ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার খরচটাকে আমি খরচ হিসেবে দেখি না, এটাকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখি। আজ আমরা যাদের পেছনে বিনিয়োগ করছি তারাই একদিন এ দেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে। বিভিন্ন উদ্ভাবনী ও আবিষ্কারে তারা এগিয়ে থাকবে। তখনই এ দেশ হবে সোনার বাংলা।
বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষার্থীদের ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৭’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দেশের ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৬৩ জন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদক পরিয়ে দেন।
তিনি বলেন, আজ যারা স্বর্ণপদক পেল তাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আজকের ছেলে-মেয়েরা এ দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তুলবে। আমরা ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত করছি। ভবিষ্যতে ছেলে-মেয়েরা এ দেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলা হিসেবে গড়বে -যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন।
স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়েছি। এ গতি যেন থেমে না যায়। এ দায়িত্ব তোমাদের। কেউ যেন বলতে না পারে বাংলাদেশ ভিক্ষুকের দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমি খুব শান্তি পাচ্ছি। কারণ, এক সময় এ দেশে মেয়েদের শিক্ষায় বিরাট বাধা ছিল। আজ যে ১৬৩ জনকে স্বর্ণপদক দিলাম তার মধ্যে ১০১ জনই মেয়ে, আর ৬২ জন ছেলে। খুব ভালো লাগার পাশাপাশি একটু খারাপও লাগছে যে, ছেলেরা পিছিয়ে থাকবে কেন? আমি চাই ছেলে-মেয়ে সমান গতিতে এগুবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এবার ৭ দশমিক ৭৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। এটাও ধরে রাখতে হবে। কারণ, প্রবৃদ্ধি বেশি থাকলে জনগণ তার সুফল পায়। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেকে গড়তে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানের শুরুতে মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে পদক পাওয়ার পর পদকপ্রাপ্ত দু’জন শিক্ষার্থী তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।