আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগও একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এর যৌথ আয়োজনে গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-বিষয়কএকটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও মাঠ প্রশাসনের করণীয় নির্ধারণ করাই ছিল এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-বিষয়ক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তথা তথ্য ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে জেলা প্রশাসক গণের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে ১২০০ ইউনিয়নে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন “বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।ইনফো সরকার -৩ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে ২৬০০ শ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে।চলতি বছরেই দ্বীপসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া হবে।নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগের লক্ষ্যে ইডিসি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় ২১ টি পপ তৈরী করা হয়েছে যেখান থেকে জেলা পর্যায়ে সরাসরি ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যাবে।তিনি জেলা প্রশাসকদের ইন্টারনেট সংযোগ সংশ্লিষ্ট যে কোন সমস্যায় তাঁর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য আহবান জানান।
অধিবেশনের শুরুতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের নিবিষ্ট নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত ই-গভর্নেন্স ইনডেস্কে বিগত চার বছরে ৩ ধাপ এগিয়ে ১১৫ তম অবস্থানে এসেছে।তিনি জেলা প্রশাসকদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অগ্রসৈনিক ’ বলে অভিহিত করেন। তিনি আরও বলেন, “ডিজিটাল সেবার ফলে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন।জেলা প্রশাসক গণের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতার জন্যই জনগণ এখন নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই প্রোগ্রাম নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ।বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তর সংস্থার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এ উদ্যোগ সমূহের সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।এই কর্মশালায় ৮ বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে সকল জেলা প্রশাসককে ৮ টি দলে বিভক্ত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন ই-মিউটেশন, ই-নথি, জেলাব্র্যান্ডিং, ই-কমার্স, ৩৩৩, কানেক্ট ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম, ইনোভেশন টিম, একশপ, জাতীয় তথ্য বাতায়ন ইত্যাদির সফল বাস্তবায়নের নিমিত্ত মাঠ প্রশাসনের করণীয় নির্ধারণ ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর কার্যক্রমকে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ কিভাবে আরও বেগবান করতে পারেন তা নিয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।সমাপনী অধিবেশনে দলীয় কাজ থেকে প্রাপ্ত সকল সুপারিশ পর্যালোচনা ও বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই প্রোগ্রাম সমন্বিত ভাবে কাজ করার কথা ঘোষণা করা হয়।
কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম,মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) ফারুক আহমেদ,বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (পিএএ), এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী, এটুআই প্রোগ্রামের পরিচালক (ই-সার্ভিস) ড. মো. আব্দুল মান্নান, দেশের সকল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক,মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই প্রোগ্রামের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।