
বাংলাদেশের সমসাময়িক সাংবাদিকতা ও সমাজ ভাবনায় একটি পরিচিত নাম আমিরুল ইসলাম কাগজী।
বাংলাদেশের সমসাময়িক সাংবাদিকতা ও সমাজ ভাবনায় একটি পরিচিত নাম আমিরুল ইসলাম কাগজী। পেশাগত জীবনে তিনি শুধু একজন সাংবাদিক হিসেবেই নন, বরং একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত একজন সংগঠক হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (ZRF)-এর অন্যতম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং গণতন্ত্র, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে তার দৃঢ় অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি তাকে দেশের সচেতন মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে।
পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতা:
আমিরুল ইসলাম কাগজী দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পর্যায়ের সংবাদমাধ্যমে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও মানবাধিকার বিষয়ক লেখালেখি করে আসছেন। বিভিন্ন টিভি আলোচনায় তাকে বিশ্লেষক হিসেবে দেখা গেছে, যেখানে তিনি সামাজিক বৈষম্য, ফ্যাসিবাদী শাসনের বিপদ ও দেশের গঠনমূলক রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে সরব ভূমিকা পালন করেন।
বিশেষ করে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (BTV) “ফ্যাসিবাদের দিনলিপি” অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে তার বিশ্লেষণ তুলে ধরেন, যা অনেক তরুণের মাঝে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এনেছে।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনে ভূমিকা:
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (ZRF) একজন রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও উন্নয়ন দর্শনকে সামনে রেখে কাজ করে চলেছে। এই ফাউন্ডেশনের পরিচালক হিসেবে আমিরুল ইসলাম কাগজী দেশের তরুণ সমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠন ও গণতান্ত্রিক চর্চা জোরদারে কাজ করে চলেছেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত কর্মশালা ও সেমিনারে তিনি বলেছেন— “বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের শক্তিকে কাজে লাগাতে হলে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বাস্তব সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।” এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, তিনি কেবল সমালোচক নন, বরং সমাধানকেন্দ্রিক চিন্তাও তুলে ধরেন।
সামাজিক সক্রিয়তা ও দর্শন:
আমিরুল ইসলাম কাগজীর নেতৃত্বে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সময়ে: দুর্নীতিবিরোধী ক্যাম্পেইন।
তরুণদের জন্য স্কিল ট্রেইনিং ও লিডারশিপ ওয়ার্কশপ
গণমাধ্যমে স্বাধীন মতপ্রকাশের পক্ষে মতামত।শিক্ষা-স্বাস্থ্য-অর্থনীতি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি:
তাঁর মতে, “দলীয় আনুগত্য নয়, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতা দিয়েই একটি রাষ্ট্রব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রশাসনিক দুর্নীতিকে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেন।
আমিরুল ইসলাম কাগজী শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি এই সময়ের একজন সচেতন ও সাহসী কণ্ঠস্বর। যিনি রাষ্ট্রের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করে চলেছেন—সাংবাদিকতার সীমা ছাড়িয়ে একজন দায়িত্ববান নাগরিক নেতায় পরিণত হয়েছেন।
তার লেখনী, বক্তব্য ও কর্মধারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে গঠনমূলক চিন্তার জোয়ার বইয়ে দিতে পারে।