
মো: আব্দুস ছলিম, বাজিতপুর, প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে “পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম - SEDP)” স্কিমের আওতায় ২০২২ ও ২০২৩ সালের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও উচ্চমাধ্যমিক সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই ২০২৫) বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত এ সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকছুদা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারাশিদ বিন এনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মো: আবুল কাশেম, বাজিতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান সিরাজসহ ৪০ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি শামসুন্নাহার মাকছুদা বলেন, “তোমরা সবাই বাহ্যিক লেখাপড়ায় ভালো করেছো বলে আজ সার্টিফিকেট পাচ্ছো। কিন্তু একজন সত্যিকারের মানুষ হতে হলে প্রয়োজন মানবিক গুণাবলির। সার্টিফিকেট একদিন হয়তো পুরনো হয়ে যাবে, কিন্তু মানবিকতা ও দেশপ্রেম থাকবে আজীবন। শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজ ও দেশের জন্য জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো অন্যকে আলোকিত করা।”
সভাপতি ফারাশিদ বিন এনাম বলেন, “আজও আমরা নিজেরা বিমান বানাতে পারি না, অন্য দেশ থেকে কিনে আনতে হয়। কারণ আমরা প্রযুক্তির দিকে যথাযথ গুরুত্ব দেইনি। আমাদের তরুণ সমাজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ অন্য দেশের ওপর নির্ভর না করে নিজের প্রযুক্তিতে স্বাবলম্বী হতে পারে। আজ যারা সম্মাননা পাচ্ছে, তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে। জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়েই তোমরা বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। ইরান আজ প্রযুক্তির জোরেই বিশ্ব পরাশক্তিকে চ্যালেঞ্জ করছে, আমাদের তরুণরাও তা পারবে যদি তারা নিষ্ঠা ও দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যায়।” বাজিতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে, অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সরারচর ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি শফিউদ্দিন।
এই স্কিমের আওতায় দেশের মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের ধরে রাখা, পরিচালনা ব্যবস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিপর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পুরস্কার ও অনুদান।
উল্লেখ্য, স্কিমের অধীন মোট বরাদ্দ ১৭.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জবাবদিহিমূলক অনুদান, শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পুরস্কার, সমাপনী পরীক্ষার পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক পুরস্কার, ব্যবস্থাপনা পুরস্কার ও সচেতনতা প্রচার অনুদান।