আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : ইন্টারনেট ও তথ্য-প্রযুক্তিখাতে সব ধরনের ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি করেছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সংশ্লিষ্ট সাতটি সংগঠন।
বুধবার বিকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং প্রস্তাবিত বাজেট পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান।
সংগঠনগুলো হলো- অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব), বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বেসিস এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বিএমপিআইএ এর সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব, আইএসপিএবি এর সভাপতি এম এ হাকিম, এমটব এর সাধারণ সম্পাদক টিআইএম নূরুল কবির, বিএসিসিও এর যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল হক, বিসিএস এর পরিচালক এ ইউ খান জুয়েল এবং ই-ক্যাব এর যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইন্টারনেট বা ডাটা কানেক্টিভিটি এখন বিশ্বব্যাপী মৌলিক অধিকারের অনুষঙ্গ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচক হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। কৃষি, শিক্ষা, ব্যবসা বা ডিজিটাল সার্ভিস থেকে শুরু করে যে কোন যোগাযোগের ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সরকার কয়েক দফা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ এর মূল্য কমালেও ইন্টারনেটের ওপর ২১.৭৫ শতাংশ ভ্যাট, সম্পুরক শুল্ক ও সারচার্জ গ্রাহকদের ওপর বোঝা হয়ে চেপে আছে।
আরও বলা হয়, ইন্টারনেট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট-এর প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা ও সুলভ মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ইন্টারনেট যন্ত্রপাতি যেমন, ফাইবার অপটিক কেবল, ওএলটি, ওএনইউ, ইথারনেট ইন্টারফেস কার্ড, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুইচ, হাব, রাউটার, সার্ভার ব্যাটারির উপর বর্তমানে ২২.১৬% ভ্যাট ও শুল্ক আরোপিত রয়েছে; যেটা এ শিল্পের প্রসারে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা এবং একারণে তা কমিয়ে ০% করার জন্য আবেদন জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর করারোপ ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের পরিপন্থী বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। এছাড়া শুল্ক কমিয়ে ৫% করায় সফটওয়্যারও বিদেশ থেকে আমদানী উৎসাহিত হবে। ফলে দেশীয় শিল্প মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ হবে। হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অপারেটিং সিস্টেম ডাটাবেস ডেভেলপম্যান্ট টুলস’ এবং ‘সাইবার সিকিউরিটি’ আমদানীর ওপর থেকে শুল্ক কমানোর জন্য বেসিস এর পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ঢালাওভাবে এগুলোর পাশাপাশি অন্য কম্পিউটার সফটওয়্যারের আমদানী শুল্ক ২৫% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে এবং মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কম্পিউটার সফটওয়্যার আমদানীর ওপর শুল্ক ও মূসক যথারীতি পূর্বের হারে বহাল রাখার দাবি জানানো হয়।
অনলাইনে পণ্য বিক্রয় তথা ই-কমার্স এর ওপর বিগত বছরের ন্যায় কোনো ভ্যাট আরোপ না করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তথ্য প্রযুক্তি খাতের নেতারা।