তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক : কানাডার আইথ্রি বায়োমেডিক্যাল কর্পোরেশনের গবেষকরা তৈরি করেছেন অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল প্রলেপযুক্ত বিশেষ মাস্ক। এটি ৯৯ শতাংশ করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম।
টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই মাস্কের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছেন। দেখা গেছে, ‘ট্রায়োমেড অ্যাকটিভ’ নামক এই মাস্কে ব্যবহৃত অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল প্রলেপ কয়েক মিনিটের মধ্যে ৯৯ শতাংশেরও বেশি সার্স-কোভ-২ ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আর এই কোভিড-১৯ মহামারির জন্য সার্স-কোভ-২ ভাইরাসকেই দায়ী করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে আইথ্রি বায়োমেডিক্যাল করপোরেশন জানিয়েছে, বিশেষ প্রলেপযুক্ত এই মাস্ক এর আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিরোধে সাফল্য দেখিয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, প্রথম ধাপে শুধু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এই মাস্কের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর সাধারণ জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে তারা উৎপাদনে যাবে।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও পিয়েরে জ্য মেসিয়ার বলেন, ‘বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, এই বিশেষ মাস্কের সংস্পর্শে ৯৯ শতাংশ করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়। এর অর্থ এই মাস্ক ব্যবহারকারীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই।’
২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ দিনে গড়ে ২৩ বার মুখমণ্ডল স্পর্শ করে। যে কারণে মাস্ক পরার পর এর ওপরে স্পর্শ না করার জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন। কিন্তু দেখা যায়, অনেকেই মাস্ক ঠিক করার জন্য বারবার হাত দিয়ে স্পর্শ করেন। ফলে হাতে লেগে থাকা করোনার জীবাণু মাস্কেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই সমস্যার সমাধান দেবে ট্রায়োমেড অ্যাকটিভ মাস্ক।