
মো: আব্দুস ছলিম, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার নয়াহাটি-খনারচর এলাকায় নব প্রতিষ্ঠিত নয়াহাটি-খনারচর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা এখনো পাঠদানের আনুষ্ঠানিক অনুমতি পায়নি। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে প্রয়োজনীয় স্বীকৃতির অভাবে প্রতিষ্ঠানটি পিছিয়ে থাকায় বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিয়া মোহাম্মদ নুরুল হক।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৩টায় প্রতিষ্ঠানটির মাঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (BIIT)-এর মহাপরিচালক ও কিশোরগঞ্জ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. এম আব্দুল আজিজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মিয়া মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, “আমি আজকে সরেজমিনে এসে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, পরিবেশ এবং পরিচালনা পর্ষদের কর্মকাণ্ড দেখে সন্তুষ্ট। প্রাথমিকভাবে এটি পাঠদানের উপযোগী বলে মনে হয়েছে। যথাযথ কাগজপত্র ও নিয়ম অনুসরণ করে দ্রুত পাঠদানের অনুমোদনের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ। মাদ্রাসা শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হলে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ও আগ্রহকেই শক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।”
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাজিতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহজাহান সিরাজ, যিনি বলেন,
“আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবো, যাতে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন:
মোঃ শফিউদ্দিন – অধ্যক্ষ, সরারচর ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা
আবু বকর সিদ্দিক – সুপার, পিরিজপুর আলিম মাদ্রাসা,
মোঃ কামরুজ্জামান – প্রধান শিক্ষক, বাজিতপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
ডা. ইয়াকুত আলী – আমীর, বাজিতপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী
সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
প্রতিষ্ঠানটির সুপার মুফতি আমানুল্লাহ বলেন, “আমাদের গ্রামীণ এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক ও জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষার সুযোগ পেতে চায়। এজন্য আমরা বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি।”
সভা শেষে বোর্ড চেয়ারম্যান মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। নব প্রতিষ্ঠিত নয়াহাটি-খনারচর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা বোর্ড অনুমোদন পেলে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। এ পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে এলাকার শিক্ষা উন্নয়নে আশার আলো দেখা দিয়েছে।